মাথা পেতে নেবে শরীরের ওপর আসা যেকোনো আঘাত, যদি থাকে ‘ট্রাস্ট’ আর্মার
ধরুন ছিনতাইকারী বা শত্রু শক্ত লাঠি বা রড নিয়ে আক্রমণ করলো। দেহে এই বডি আর্মার জড়ানো থাকলে আপনি নিরাপদ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটা থাকলে লাঠি তো দূরের কথা একটা সূচালো বস্তুও দেহে আঁচড় কাটতে পারবে না। এই বডি আর্মার যেকোনো আঘাত বিস্ময়করভাবে হজম করে নেবে। দেহ অবধি সেই আঘাত পৌঁছতে দেবে না।
এই ডি৩০ বডি আর্মার দেখার মতো জিনিস। কোমল, স্থিতিস্থাপতাসম্পন্ন এবং কমলা রংয়ের বস্তু। একে ব্যবহার করে হেলমেট বানালে মাথা আরো বেশি নিরাপদ হবে। এছাড়া বুক কনুই, হাঁটু বা গোটা পায়ের সুরক্ষার জন্যেও আর্মার বানানো যায়।
হাতের স্পর্শে কোনো সাধারণ রাবার জাতীয় বস্তু বলেই মনে হবে। কিন্তু অ্যাডভান্সড পদার্থে বানানো হয়েছে এই আল্ট্রা-লাইটওয়েট দেহ সুরক্ষার জিনিস। পরলে মনে অন্যান্য পোশাকের মতোই। যে বিজ্ঞানীরা এটা নিয়ে কাজ করেছেন তারা নিশ্চয়তা দিচ্ছেন, বড় ধরনের আঘাতেও এই বডি আর্মার শতভাগ নিরাপত্তা দিতে সক্ষম।
এটা ‘ট্রাস্ট’ আর্মার নামে পরিচিত হয়ে উঠছে। এটা এমনিতেই কোমল ও রাবারের মতোই টানলে বাড়ে। বড় আঘাত বা চাপ তাই সহজে সয়ে নিতে পারে নিজের মধ্যে। অন্তত ব্যবহারকারী আসল আঘাতের অনেক কম পরিমাণই গ্রহণ করবেন।
ডি৩০ বানাতে প্রয়োগ করা হয়েছে উচ্চমানের পলিমার রসায়ন। সবচেয়ে সহজ ও বোধগম্য করে বলা যায়, এর মলিকিউল কোমল উপাদানের মধ্যে স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করতে পারে। আঘাত আসামাত্রই মলিকিউল লক হয়ে যায়, আঘাত হজম করে এবং আগাতের শক্তি নিজের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়। আঘাত সরে গেলেই বস্তুটি আবার আগের মতো নরম হয়ে যাবে।
এটি মাত্র কয়েক মিলিমিটার পুরু। এত পাতলা জিনিস যদি এতটা সুরক্ষা দিতে পারে, কাজেই দেহের নিরাপত্তায় ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসে এটা ব্যবহার করা যেতে পারে। ক্রমেই এর সুফল পেতে পারেন সবাই।