এখানে কোটি বছরেও আপনার শরীর থাকবে একই রকম
অর্থাৎ শূন্য মহাশূন্য পুরোপুরি ফাঁকা নয়। প্রধানত, অতি অল্প পরিমাণ হাইড্রোজেন প্লাজমা, তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ, চৌম্বক ক্ষেত্র এবং নিউট্রিনো এই শূন্যে অবস্থান করে। তাত্ত্বিকভাবে, এতে কৃষ্ণবস্তু এবং কৃষ্ণশক্তি বিদ্যমান।মহাকাশে মৃতদেহ পচার সুযোগ পাবেনা। কারণ রেডিয়েশন ও বায়ুশূন্যতায় শরীরের যত ব্যাকটেরিয়া আছে, ওগুলো মারা যাবে বা শীতনিদ্রায় চলে যাবে। মৃতদেহ যদি পৃথিবীর কক্ষপথের সাথে চলে তবে তা কম চাপের কারণে সিদ্ধ হয়ে মমিতে পরিণত হবে। অনেকটা ইতালির পম্পেইতে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ধ্বংস হওয়া নগরীতে যেমন লাশ উদ্ধার হয়েছিল তেমন।
আবার যদি দেহটা পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে সৌরজগতের বাইরের দিকে থাকে, যেখানে তাপমাত্রা শূন্যের নীচে, লাশটা জমে শক্ত হয়ে যাবে। যেহেতু বায়ু শূন্যতায় তাপের পরিবহনও দ্রুত হয়না তাই এরকম হতে কয়েকদিন এমনকি কয়েক সপ্তাহও লেগে যেতে পারে।
মাউন্ট এভারেস্ট বা আল্পস পর্বতমালার হিমবাহের মাঝে শব যেমন বছরের পর বছর ভাল থাকে, তেমনি মহাকাশেও মৃতদেহ কয়েক মিলিয়ন বছর পরেও চেনা যাবে, যতক্ষণ না এটা কোন জ্যোতিষ্কে পতিত হচ্ছে।