গণ্ডারকে উল্টো ঝুলিয়েও জোটে এই ‘নোবেল’, ১০ ট্রিলিয়ন
বিজ্ঞানভিত্তিক একটি রম্য পত্রিকা অ্যানালস অব ইমপ্রোব্যাবল রিসার্চ – এই ইগ নোবেল পুরস্কারটি দিয়ে থাকে। গণ্ডার সংক্রান্ত এই পরীক্ষাটি তাদের বিচারে ‘পরিবহন গবেষণা’ ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। অন্য আরো যারা এ পুরস্কার পেয়েছেন – তারাও উদ্ভট বিষয় বেছে নেবার দিক থেকে কিছু কম যান না।
একটি দল গবেষণা করেছেন ফুটপাতে আটকে থাকা চুইংগামের ভেতরে যে ব্যাকটেরিয়া থাকে- তা নিয়ে। আরেক দল গবেষকের বিষয় ছিল – সাবমেরিনের মধ্যে তেলাপোকার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণের উপায় কী।
এই ব্যঙ্গাত্মক নোবেল পুরস্কার অবশ্যই আসল নোবেল পুরস্কারের মতো বিখ্যাত নয়, তবে একেবারে অখ্যাতও নয়। এটি দেওয়া হয় আমেরিকার বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এবং তাতে আসল নোবেল-পুরস্কারপ্রাপ্তরা এসে ইগ নোবেল বিজয়ীদের পুরস্কার দেন।
এবার অবশ্য এই মজার অনুষ্ঠানটি হয়েছে অনলাইনে – করোনাভাইরাস মহামারির কারণে। পত্রিকাটির বক্তব্য: এই পুরস্কারের খবর পড়ে প্রথমে আপনি হাসবেন, কিন্তু তার পর এটি আপনাকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে বাধ্য করবে। বলা হচ্ছে, গণ্ডারের গবেষণাটিও ঠিক তেমনি একটি ব্যাপার। কারণ, ১২টি গণ্ডারকে ১০ মিনিট ধরে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখার মতো উদ্ভট কাজ আর কি হতে পারে?
কিন্তু নামিবিয়ায় গিয়ে আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু চিকিৎসক রবিন র্যাটক্লিফ এবং তার সহকারীরা যে গবেষণাটি করেছেন – তাদের লক্ষ্য ছিল পরিষ্কার। তারা জানতে চেয়েছিলেন, প্রাণীদের যখন পায়ে দড়ি বেঁধে হেলিকপ্টারে করে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় – তা তাদের স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব ফেলে। রবিন র্যাটক্লিফ বলেন, ‘নামিবিয়াই প্রথম এটা জানতে চেয়েছে যে আমরা যে এই কাজটা করছি – এটা গণ্ডারের জন্য কতটা নিরাপদ?’
এবারের ইগ নোবেল পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানে যে আসল নোবেল বিজয়ীরা ছিলেন -তাদের মধ্যে আছেন ২০১৮-র রসায়নে নোবেল জয়ী ফ্রান্সে আর্নল্ড, ২০০১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল জয়ী কার্ল ওয়েইম্যান, আর ২০০৭-এ অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া এরিক ম্যাসকিন।
পুরস্কার হিসেবে ইগ নোবেলজয়ীরা পেয়েছেন একটি পিডিএফ প্রিন্ট-আউট – যা জোড়া দিয়ে তাদের নিজেদের ট্রফি বানিয়ে নিতে হবে। তাছাড়াও ছিল নগদ অর্থ হিসেবে ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি জিম্বাবুয়েইয়ান জাল ব্যাংক নোট।