নিজের সন্তানদের সাথে এই মায়েদের কর্ম জানলে শিউরে উঠবেন
কথায় আছে ঈশ্বর সব স্থানে থাকতে পারেন না তাই তিনি মা সৃষ্টি করেন। পৃথিবীর সবচেয়ে আপনজন হচ্ছেন প্রিয় মা। নিরাপদ আশ্রয়স্থল খুঁজে পাওয়া যায় সেই মায়েরই কাছে। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তখন, যখন সেই জন্মদাত্রী মা নিজের সন্তাকে চরম পাশবিকভাবে হত্যা করেন। পৃথিবীতে তেমন কিছু মায়ের সন্ধ্যান পাওয়া গেল যারা অন্য আর দশটা মা থেকে আলাদা। পৃথীবিতে এখন এমন অনেক নির্দয় মহিলা আছেন যারা নিজের সন্তানদের হত্যা করার আনন্দে মেতে থাকতে পছন্দ করেন।
গীতা (পরিবর্তিত নাম) : পুরুলিয়ার ২২ বছরের গীতা তার সাড়ে তিন বছরের মেয়েকে প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজস করে দিনের পর দিন সুচ বিদ্ধ করে হত্যা করেন। ঘটনাটি তখন প্রকাশ্যে আসে যখন মেয়েটিকে তিনি হাসপাতালে বেদম জ্বর নিয়ে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা যখন শিশুটিকে পরীক্ষা করেন তখন তারা দেখেন শিশুটির লিভার, যকৃৎ, যৌনাঙ্গ সহ নানা স্থানে অঙ্গে বিঁধে রয়েছে ৭ টি সুচ। এছাড়াও শিশুটির এক হাতের হাড় ভাঙা ছিল। পরে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে সেই মহিলা তার ৬২ বছরের প্রেমিক সনাতন ঠাকুরের সঙ্গে মিলিত হয়ে শিশুটিকে নিজের পথ থেকে সরানোর জন্যই শুধু যৌন নির্যাতনই করান নি, দিনের পর দিন তার শরীরে বিঁধেছেন একটার পর একটা সুচ। পরে শিশুটি চিকিৎসা
চলাকালীনই হাসপাতালেই মারা যায়।
লিন্ডসি লোই : ২৫ বছর বয়সী লোইনে নিজের যমজ দুই শিশুকে হত্যা করেন। তিনি নিজের গর্ব ধারণের কথাটি বাবা-মায়ের কাছে লুকাতে চেয়েছিলেন। তাই টয়লেটে লুকিয়ে যমজ দুটি বাচ্চার প্রসব করান। পরে তাদের নাক-মূখ চেপে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলেন। শেষে ঘটনার সত্যতা যানা যায় লোইনের বাবার কাছ থেকে, রুমের পাশে কাগজ দিয়ে মোড়ানো মৃত নবজাতক দুটি শিশুর দেহ দেখতে পেয়ে তিনি সরাসরি পুলিশকে খবর দেন।
বিয়ানকা এন : এটি ছিল আরেকটি অবাক করা ঘটনা। বিয়ানকা নিজের ৪ মাসের কন্যা শিশুকে একা এপার্টমেন্টে রেখে কিছু ঘণ্টার জন্য চলে যান হ্যালোইন পার্টিতে। কিন্তু পার্টিতে তিনি অতিরিক্ত ড্রাগ গ্রহণ করায়, তিনি কিছু ঘণ্টার পরিবর্তে কাটিয়ে ফেলেন কয়েক সপ্তাহ। এদিকে ভুলে যান এপার্টমেন্টে নিজের শিশুকে ফেলে রেখে আসার কথাও। যার ফলাফল, শিশুটি না খেয়ে মারা যায়। তবে বিয়ানকা এন তা স্বীকার করেননি। তিনি বলেন তার কন্যা ব্রেইন টিউমারে মারা যায়।
মেগান হান্টারম্যান : মেগান হান্টারম্যান, আরেকটি উদাহরণ। ৩৯ বছর বয়সী খুনি মহিলা। ইনি ১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত একের পর এক নিজের মোট ৬ সন্তানকে মেরে তাদের দেহ বাক্সে পুরে লুকিয়ে রাখেন। মহিলাটির ৭ম শিশুটি প্রাণে বেঁচে যায়। কারণ শিশুটির বাবা তাকে গ্যারেজের একটি বক্সের মধ্যে থেকে খুঁজে পেতে সক্ষম হোন।
কে ইয়াং : এবার শুনুন ভয়ংকর এক নারীর ভয়ংকর ঘটনা। কে ইয়াং শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হননি, তিনি সেই সন্তানের নাড়ী-ভুঁড়িকে ওভেনে রান্নাও করেছেন।
আলেকজেনডা ভি টাবিস : তিনি পুলিশকে বলেন, ফেইসবুকে তিনি গেইম খেলছিলেন আর তখন তার বাচ্চাটি কেঁদে তাকে বিরক্ত করছিল। তিনি তখন রেগে গিয়ে খুব জোরে বাচ্চা টিকে ঝাঁকি দিতে থাকেন। নিষ্ঠুরতার এখানেই সমাপ্তি হয়নি। শেষ পর্যন্ত সেই ঝাঁকিতেই অবুঝ শিশুটির মৃত্যু ঘটে।
ফ্রান্সিস নিউটন : ঘটনাটি ২০০৫ সালে আমারিকার টেক্সসাসে ২১ বছর বয়সী ফ্রান্সিস নিউটন তার প্রেমিকের বন্দুক দিয়ে নিজের স্বামী, ৭বছরের পুত্র এবং ২১ মাসের কন্যাকে হত্যা করেন।
রবিন লি রো : এটি ছিল একটি বিরল হৃদয় বিদারক ঘটনা। এই মহিলাও তাঁর ১০বছরের পুত্র এবং ৮ বছরের কন্যাসহ নিজের স্বামীকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেন ।
আন্ড্রে ইয়াটস : এটি ছিল একটি অদ্ভুত হত্যাকাণ্ড। এই মহিলার নেশা ছিল নিজের বাচ্চাদের নিজ হাতে হত্যা করা। তিনি ৭ বছর থেকে ৬ মাসের শিশুসহ নিজের মোট ৫ বাচ্চাকে মেরে ফেলেন। পরবর্তীতে তিনি পুলিশের কাছে বলেন, ‘শয়তান আমাকে হুকুম দিয়েছে এদের মেরে ফেলতে’।
ডেনা লেনি : ঘটনাটি ঘটে ২০০৩ সালের মে মাসে। এনার দুই পুত্র সন্তান। একজনের বয়স ৮ এবং অন্যজনের বয়স ৬। তিনি তাদের সু কৌশলে বাড়ি থেকে বের করে পরিকল্পনা করে মেরে ফেলেন।
নিকোল কেলি : ২০১৪ সালে ২২ বছর বয়সী এই মহিলা তার ১১ বছরের শিশু পুত্রকে হত্যা করেন।