হাক্কানির ঘুষি খেয়েই ‘লাপাতার লিস্টে’ ছিলেন বরাদর
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
আফগানিস্তানের নতুন সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আবদুল গানি বারাদারকে হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রভাবশালী নেতা খলিল উর-রহমান হাক্কানি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশের প্রেসিডেন্ট প্যালেসে, সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে এ কোন্দলের ঘটনা ঘটে। খলিল তালেবান সরকারের শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রী। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে জানা গেছে এসব তথ্য।
জানা গেছে, সরকার গঠন নিয়ে আলোচনার সময় বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে তালেবান নন এমন নেতা ও সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিসহ ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ একটি মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য জোর দিচ্ছিলেন বারাদার।
আলোচনার এক পর্যায়ে আমেরিকার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা খলিলুর রহমান হাক্কানি তার চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ান এবং তালেবান নেতা বারাদারকে ‘ঘুষি’ মারেন।
এসময় অন্যরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দু’পক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন। বারাদার আহত না হলেও রাজধানী ছেড়ে কান্দাহারে চলে যান। পরে তিনি নিহত হয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
যদিও সম্প্রতি তিনি এক ভিডিও বার্তায় ভালো আছেন বলে বিশ্ববাসীকে জানান।
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের ‘মধ্যমপন্থি’ নেতা হবেন মোল্লা আবদুল গানি বারাদার, এমন প্রত্যাশা ছিল আমেরিকার ও তার মিত্রদের। কিন্তু সরকার গঠন নিয়ে কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্যালেসে নাটকীয় গোলাগুলির ঘটনার পর বারাদার ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের ক্ষমতার লড়াইয়ের প্রেক্ষাপটে আখুন্দকে তালেবান সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়টিকে একটি সমঝোতার বিষয় বলে জানা যাচ্ছে।
২০২০ সালে তালেবান নেতা বারাদারই সর্বপ্রথম আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন। এর আগে, তালেবানের পক্ষ থেকে দোহা শান্তি চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেন তিনি।