২২ বছরের বয়সের ফারাক, তবুও বিয়ের ৫০ বছর পরও এই বলিউড দম্পত্তি সবে বিবাহিত
বলা হয় বিয়ে তৈরী করেন ঈশ্বর। কিন্তু ধরিত্রীতে আজকাল আর এই কথায় কেউ বিশ্বাসী নয় তাই লাইফ পার্টনারও নিজেরাই ঠিক করে আবার তা ভাঙতেও কারো পরামর্শ নেয় না।বিশেষকরে যদি বলিউড সেলেব হলে তো কোথায় নেই। এখানে বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই সম্পর্কের ইতি ঘটে। ১৮-২০ বছর একসঙ্গে জীবন কাটানোর পর তা ভাঙতে সময় লাগে না। কিন্তু আবার এখানেই দিলীপ কুমার ও সায়রা বানুর ব্যতিক্রম সম্পর্ক আছে যারা বিয়ের ৫০ বছর পর যারা চির নতুন স্বামী-স্ত্রীর মতো বেঁচে থাকেন।
দিলীপ কুমার সায়রা বানুর থেকে ২২ বছরের বড় কিন্তু তাতেও ওঁদের সম্পর্ক ফাটল ধরেনি | ২০১৬‘র ১১ অক্টোবর দাম্পত্য জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ করেন ওঁরা | নিজের দাম্পত্য নিয়ে সায়রা জানিয়েছিলেন বিয়ের পর ওঁকে এবং দিলীপ কুমারকেও বহুবার কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে | কিন্তু পরিস্থিতি যত খারাপই হোক না কেন একে অপরের প্রতি কোনদিনই বিশ্বাস হারাননি ওঁরা |
সেই সাক্ষাৎকারে সায়রা জানিয়েছেন দিলীপের সঙ্গে ওঁর প্রথম সাক্ষাতের কথা | ওঁর কথায় ‘ আমি যখন লন্ডনে ছিলাম ওঁকে প্রথমবার দেখি | সেই সময় আমি স্কুলে পড়তাম | আমি স্বপ্ন দেখতাম যে আমি অক্সফোর্ড স্ট্রিটে শপিং করছি আর উনি ওঁর গাড়িতে করে আমার পাশে এসে দাঁড়াবেন | ‘
দিলীপ কুমার সেই সময় একজন প্রতিষ্ঠিত নায়ক | তাই এটাই স্বাভাবিক যে ওঁর প্রচুর মহিলা ভক্ত ছিল | সায়রাও তাদের মধ্যে একজন ছিলেন | এই ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে সায়রা বলেন ‘উনি সান্তাক্রুজে প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসতেন | আমার বাবা মায়ের (মহম্মদ এহ্সান‚ নাসীম বানু) সঙ্গে ভালো পরিচয় ছিল ওঁর | উনি ভীষণ হ্যান্ডসাম ছিলেন | ‘
আর সব থেকে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো দিলীপ প্রথমদিকে সায়রার সঙ্গে কাজ করতে রাজি ছিলেন না | সায়রা বানুর কথায় ‘উনি প্রথমদিকে আমার সঙ্গে কাজ করতে রাজি ছিলেন না | কারণ উনি আমাকে বাচ্চা মনে করতেন |‘
কিন্তু এর ছ’মাস পরেই একদিন সায়রাকে দেখে অভিভূত হয়ে যান দিলীপ এবং ওঁর প্রেমে পড়েন | এই ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে সায়রা বলেন ‘ আমার দিকে তাকিয়ে উনি বললেন ও গড! তুমি তো বড় হয়ে গেছ এবং ভীষন সুন্দর দেখাচ্ছে তোমাকে | সেদিন আমি একটা শাড়ি পরেছিলাম ‚ এর পরেরদিন উনি আমাকে ফোন করেন এবং আমাদের কোর্টশিপ পিরিয়ড চালু হয় |
কিন্তু এমন একটা সময় আসে যখন দিলীপ কুমার আসমা রহমান নামে একজন মহিলার প্রেমে পড়েন | এই পরিস্থিতির কীভাবে মোকাবিলা করেন সেই কথা বলতে গিয়ে সায়রা বলেন ‘দিলীপ সাব নিজেই আমার কাছে স্বীকার করেন উনি ভুল করেছেন | আমরা দুজনেই কঠিন পরিস্থিতির সামনে পড়ি | উনি আমাকে ওঁর পাশে থাকতে বলেন | ধৈর্য ধরতে বলেন | আমি ওঁকে বিশ্বাস করেছিলাম |