১২০০ চুল গজাতে চাইলে তুলুন ২০০ চুল !
প্রধান গবেষক চেং-মিং চুয়ং বলেন, “এর মাধ্যমে অ্যালোপেসিয়া (এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চুল দ্রুত পড়ে যায়) রোগের সম্ভাব্য চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।”
চুল তোলার কারণে চুলের গোঁড়ার ক্ষত যেভাবে পারিপার্শ্বিক অবস্থার ওপর প্রভাব ফেলে, ঠিক একইভাবে এ অবস্থাটিই আবার নতুন চুল গজানোর প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ ধারণার ওপর ভিত্তি করেই কয়েক বছর আগে গবেষণাটি শুরু হয়।
এই প্রক্রিয়ায় আরো বেশি চুল গজাতে সক্ষম হওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদী ছিলেন গবেষকরা। এটি পরীক্ষা করতে তারা একটি ইঁদুরের পিঠ থেকে ভিন্ন ভিন্ন ছাঁচে একের পর এক ২০০টি লোম তুলে নেন। যখন কম ঘনত্বে একটি জায়গা থেকে লোম তুলে নেয়া হয়, তখন দেখা যায় কোনো নতুন লোম গজায়নি। অথচ বেশি ঘনত্বে লোম তুলে নেয়ার ফলে ৪৫০ থেকে ১৩০০’র মত নতুন লোম গজাতে দেখতে পান গবেষকরা। এমনকি যেখান থেকে লোম তোলা হয়নি, সেখানেও নতুন লোম গজাতে দেখা যায়।
গবেষকরা দেখিয়েছেন, ‘কোরাম সেন্সিং বা অনুভবনশীল’ প্রক্রিয়ায় নতুন লোম গজিয়েছে। যদিও সব ক্ষেত্রে একই ফল পাওয়া যায়নি।