November 23, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

জেনেও না জানা শত-শত সন্তানের পিতা ! কিন্তু …

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :বেলজিয়ামের রাজধানী ঘেন্টের প্রাক্তন নিবাসী গাই টার্ফ। তিনি এখন বিদেশে বসবাস করেন। যখন তিনি তার দেশে ছিলে তখন একাধিক মেডিকেল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে স্পার্ম (শুক্রাণু) দান করতেন। এ জন্য প্রাকৃতিকভাবে তার শত শত সন্তান হয়ে থাকতে পারে!

বেলজিয়ামে ২০০৭ সালে শুক্রাণু দানের বিষয়টি আইনি স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে ওই ব্যক্তি ঘেন্ট ও ব্রাসেলসের নানা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে হাসপাতালে শুক্রাণু দান করেছেন।

যৌবনে তার শুক্রাণু দান সম্পর্কে তিনি স্থানীয় দৈনিক ডি স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে কথা বলেছেন। এখন তিনি বেলজিয়ামের বাইরে থাকেন। সেসময় তিনি ঘেন্টে বসবাস করতেন এবং শুক্রাণু দান করে সামান্য অর্থ উপার্জন করতেন। ২ বছর ধরে তিনি সপ্তাহে দুবার শুক্রাণু দান করেন, যা থেকে আয় হতো ৫০ ইউরো।তিনি বহু বছর আগে ফ্লেমিশ ব্রাবান্টে চলে যাওয়ার পরও ব্রাসেলস ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে শুক্রাণু দান করেন। একটি প্রাইভেট ডিএনএ ডাটাব্যাঙ্ক ব্যবহার করে অনেকে এখন আবিষ্কার করেছে যে, তিনি তাদের পিতা। লোকটি বুঝতে পারেন তার আরো অনেক সন্তান থাকতে পারে!

ঘেন্ট ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের ডা. ফ্রুক ভ্যানডেন মিরশট বিস্মিত। তিনি বলেন, ২০০৭ থেকে আইনি কাঠামোর অধীনে একজন দাতা ছয়টির বেশি ভিন্ন পরিবারকে দান করতে পারবেন না। সাধারণত, দশটি অনুদান এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট। বয়সের একটা সীমা আছে। একটি রক্ত বিশ্লেষণ, মনস্তাত্ত্বিক এবং জেনেটিক স্ক্রিনিং আছে। ফি ৫০ থেকে ৮০ ইউরোর মধ্যে।

শুক্রাণু দানকারীদের নাম প্রকাশ করা হয় না। যদিও শিশুরা তাদের ‘স্বাভাবিক’ পিতাকে শনাক্তের আশায় ব্যক্তিগত ডাটাবেস ব্যবহার করতে পারে।

ডা. মিরশট আরও বলেন, দাতার নাম নিবন্ধিত, তবে কেউ যদি শুক্রাণু গ্রহণ করেন, তবে একটি নম্বর ব্যবহার করা হয়। হাসপাতালগুলো দাতার পরিচয় সম্পর্কে কোনো বিশদ তথ্য প্রকাশ করে না। তবে ব্যক্তিগত ডিএনএ ডাটাবেস আছে। আপনি একটি ডিএনএ নমুনা প্রদান করতে পারেন এবং আপনার পূর্বপুরুষদের শনাক্ত করার আশা করতে পারেন। তিনি বিশ্বাস করেন, আজকের আইনি কাঠামো বর্তমান সামাজিক নৈতিকতার সাথে আপ-টু-ডেট নয়।
তিনি বলেন, ‘গোপনীয়তা আজ আর উপযুক্ত নয়।’

Related Posts

Leave a Reply