শত রোগ একটাই ওষুধ, শুধুই পেঁয়াজের ছোঁয়া
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
পেঁয়াজ দিয়ে কী শুধু কষা মাংস আর গুরুপাক খাবার তৈরি হয় নাকি? পেঁয়াজের কত গুন। এই পেঁয়াজের সান্নিধ্যে এলে যে সেরে যেতে পারে ছোট বড় কত রকমের রোগভোগ। শুধু একটা পেঁয়াজ দিয়েই সারিয়ে দেওয়া যায় কত রোগ। বাড়তি কোনও ওষুধও লাগবে না এসব রোগ সারাতে। এমন অনেক রোগ রয়েছে যা আপাতভাবে খুব সাধারণ মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদে গিয়ে শরীরের হাল একেবারে বেহাল করে দেয়।
আবার কথায় কথায় তো ওষুধপত্র খাওয়াও ঠিক নয়। কারণ যত যাই হোক বিভিন্ন ওষুধের বিভিন্ন কম্পোজিশন এবং তার ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া। তাই যতটা সম্ভব ওষুধ বিষুধ এড়িয়ে চলাই ভাল। কিন্তু ওষুধ এড়িয়ে চললে শুধু পেঁয়াজ দিয়ে কিভাবেই বা কাজ হবে তাও তো জানা দরকার নাকি? তাহলে আসুন একঝলকে দেখে নেওয়া যাক
শ্লেষ্মা: খুকখুকে কাশি পেঁয়াজকে মাঝ বরাবার লম্বা করে কাটুন। কাটা পেঁয়াজের ভিতরের অংশ ১ টেবিল চামচ করে ব্রাউন সুগার রাখুন। এবার এবার পেঁয়াজের টুকরো দুটি ফের লাগিয়ে দিন। এই পেঁয়াজ একটি এয়ার টাইট পাত্রের মধ্যে রেখে দিন। এক ঘন্টা এভাবেই রেখে দিন। এইভাবে দিনে দুবার পেঁয়াজ ও চিনির মিশ্রণ খান। এতে শ্লেষ্মা দূর হবে।
জ্বর : জ্বরে গা পুরে যাচ্ছে? থার্মোমিটারের পারদ উর্ধ্বগামী? চিন্তা করবেন না। একটা পেঁয়াজকে মাঝ বরাবর অর্ধেক করে কাটুন। এবার দুই পায়ের চেটোর তলায় পেঁয়াজের কাটা দিকটা লাগিয়ে মোটা সুতির মোজা পরে শুয়ে পড়ুন। সারারাত এভাবে থাকলে দেখবেন আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমবে।
বমি : বমি হলে সবার প্রথমে একটা পেঁয়াকে ভাল করে থেঁতো করে নিয়ে তার থেকে রস বের করে নিন। এবার গোলমরিচ দিয়ে কড়া করে চা বানিয়ে নিন এবং এটাকে ঠান্ডা করে নিন। ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস খান। ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ২ টেবিল চামচ গোলমরিচের চা খান। আবার ৫ মিনিট অপেক্ষা করে ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস খান। এই একই পদ্ধতি বারবার করতে থাকুন, যতক্ষণ না বমি থেমে যাচ্ছে।
কেটে যাওয়া স্থান থেকে রক্ত বেরনো বন্ধ না হলে : একটি পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে পেঁয়াজের উপরের পাতলা স্তর বের করে নিয়ে কাটা স্থানে চেপে ধরুন। মুহূর্তের মধ্যে রক্ত বেরনো বন্ধ হবে। এছাড়া কাটা ঘায়ে পেঁয়াজ অ্যান্টিসেপ্টিকেরও কাজ করে।
বুকে সর্দি জমে নাক বন্ধ : পেঁয়াজ মিহি করে বেটে একটা পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টের সঙ্গে নারকেল তেল মেশান। বুকে ও নাকের উপর ভাল করে মালিশ করুন এই মিশ্রণ। এরপর এটা তোয়ালে দিয়ে বুকটা ঢাকা দিয়ে দিন। রাতে শুতে যাওয়ার আগেও করতে পারেন এই পদ্ধতি।
কানে ব্যথা, সংক্রমণ : কানের ব্যথা ও সংক্রমণের ক্ষেত্রে পেঁয়াজের ব্যবহার করতে পারেন। পেঁয়াজ ভাল করে কুচিয়ে নিন। এবার একটি পাতলা কাপড়ে পুটলি বাঁধুন বা পাতলা মোজার মধ্যে ঢুকিয়ে মুখটা বেঁধে দিতে পারেন। এবার এই পুটলি সংক্রমণ হওয়া কানে বা কানেক যেখানে ব্যথা করছে সেখানে রেখে মাফলার বা হনুমান টুপি পড়ে আটকে নিন। যাতে পুটলিটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরে না যায়। ধীরে ধীরে দেখবেন ব্যথা চলে গিয়েছে।
শিশুদের পেটের ব্যথায় : একটা ছোট পেঁয়াজকে জলে কিছুক্ষণ ফোটান। এরপর ছেঁকে নিয় জলটা আলাদা সরিয়ে রাখুন। এই জল ঠাণ্ডা হলে ১ চা চামচ করে ঘন্টায় ঘন্টায় খাওয়ান। যতক্ষণ না ব্যথা কমছে।