শুধু জুসেই কেল্লা ফতে! কত রোগ সারাতে পারে জানেন?
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
জুস কিওর থেরাপি নাম শুনেই নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে ফল বা সবজির জুস খেয়ে রোগ নিরাময়ের পদ্ধতিকেই বলে জুস কিওর থেরাপি। জুস বা ফল-সবজির রসের মাধ্যমে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে স্বাস্থ্যের পুনরুদ্ধারই হল এই বিশেষ থেরাপির কাজ। প্রত্যেক সবজি বা ফলের মধ্যেই রয়েছে কোনও না কোনও ম্যাজিক উপাদান যা আপনার শরীরের কোন নির্দিষ্ট রোগ দুর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি জুসের ফলে আপনার শরীরের ভিতরের বর্জ্যগুলি অতি সহজে বেরিয়ে আসে।
জুস কিওর থেরাপি করতে হলে আপনাকে সবার আগে জানতে হবে কোন ফল বা সবজির রসে কী গুন আছে। সেই বুঝে আপনি নিজের উপর জুস কিওর থেরাপি প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। তবে মাথায় রাখবেন সব রোগ কিন্তু এই থেরাপি দিয়ে সারানো সম্ভব নয়। এই থেরাপিতে কোনও রোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে, কিংবা প্রাথমিক স্তরে থাকলে তা সারানো যেতে পারে, তবে বাড়াবাড়ি হলে অবশ্যেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কিডনিতে পাথর : কিডনি সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় লেবুর সরবত খেতে পারেন, কিংবা আপেলের জুস, কমলালেবুর জুস বা মেলন জাতীয় ফলের জুস খেতে পারেন।
হাইপারটেনশন : উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা মেটাতে আদার জুস, শশার জুস, সেলারির জুস, আপেলের জুস, বীটের জুস খেতে পারেন।
স্মৃতিশক্তি : মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার করতে আঙুরের জুস, বীটের জুস কিংবা বেদানার জুস খেতে পারেন।
মাথার ব্যথা : মাথার যন্ত্রণা যদি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে সেলারির জুস, আদার জুস, শশার জুস বা আপেলের জুস খান। লিভারকে ঠিক রাখতে লিভারে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য শসার রস, তরমুজের রস এবং গাজরের রস খেতে পারেন।
বদহজম : আপনার যদি হজমের সমস্যা থাকে তাহলে পুদিনা পাতার জুস, লেবুর রস, গাজরের জুস কিংবা আনারসের জুস খেতে পারেন। আলসার আলসারের হাত থেকে মুক্তি পেতে সেলারির জুস, গাজরের জুস কিংবা বাধাকপির জুস খান।
শ্বাসকষ্ট : শ্বাসকষ্টের সমস্যায় লেবুর রস রসুনের রস, আপেলের রস, পালকের রস এবং গাজরের রস খেয়ে দেখুন উপকার পাবেন।