যেখান-সেখানে ঢেকুরে লজ্জিত! রোধের প্রাকৃতিক উপায়
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
উদ্গার বা ঢ়েকুর তোলা এক পদ্ধতি যেভাবে শরীরের অতিমাত্রায় সৃষ্ট পেটের গ্যাস নিষ্কাশন হয়।কিছুই না এটি তলপেটে জমে থাকা গ্যাস।এটির নাম “রাকটাস্ ওরেরাকটেশান”। পেটে জমা গ্যাস অস্বস্তি, ব্যথা ও ক্র্যাম্প সৃষ্টি করে।দুটি মূল কারণ ঢেকুর তোলার হল খাওয়ার সময় বেশী হাওয়ার ভেতরে যাওয়া এবং অবশ্যই বদ্ হজম।
অন্য কিছু কারণের মধ্যে হল মদ্যপান,কার্বোনেটড পানীয়, পিত্ত পাথর (গল ব্লাডার ষ্টোন) এবং পেপটিক আলসার।যদিও উদ্গার বা ঢ়েকুর তোলা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এটি গ্যাসট্রিসাইটি্স, পেপটিক আলসার, ল্যাকটোসের পতি অসহনীয়তা এবং সেলিয়াক রোগ।
উদ্গারের কিছু লক্ষণের মধ্যে আছে পেট ফাঁপা, এ্যাসিডিটি, বুক জ্বালা,পেটের উপর দিকে সব সময় ব্যাথা,ক্ষিদে,বমিভাব, মুখে তিক্ত স্বাদ, বমি ও খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা। উদ্গার বা ঢ়েকুর প্রতিকারে ভেষজ উপায় খুবই কার্যকরী। এই লেখায় সহজ অথচ সস্তা পদ্ধতি জানাই উদ্গার বা ঢ়েকুর তোলা রোধের জন্য।
আদা : আদা -অতি মাত্রায় তৈরী গ্যাস সৃষ্টিতে সাহায্য করে।এর কিছু বৈশিষ্ঠ্য খাদ্যনালীর পেশী চিকিৎসায় সাহায্য করে, যার ফলে গ্যাস, পেট ফাঁপা ও উদ্গার রোধে সাহায্য করে। হজমে সাহায্য করা ছাড়াও এটা পেটের যণ্ত্রণা কমায়।২-৩ কাপ আদাযুক্ত চা উদ্গারমাত্রা কমায়।
পেপারমিন্ট : পেপারমিন্ট আরও এক প্রাকৃতিক উপায় পেট ফাঁপা কমায়। এটা বাইল রস তৈরী সাহায্য করে এবং হজমের সহায়ক।ভালো ফলের জন্য দিনে কয়েকবার পেপারমিন্ট চা পান করুন।
এলাচ : এলাচ পাচক রস তৈরীতে সাহায্য করে।এছাড়া গ্যাস তৈরীর সম্ভাবনাও কম করে।হজমে সহায়ক এই উপাদানটি গ্যা্স সৃষ্টিও রোধ করে এবং পেট ফাঁপাও কমায়। দিনে ২-৩বার কিছু এলাচ দানা চিবন।
মৌরী : মৌরী বহু যুগের প্রচলিত উপাদান উদ্গার রোধের পদ্ধতি হিসেবে।এটি খাদ্যনালীকে শান্ত করে এবং গ্যাস তৈরী থেকে রোধ করে।এটি বদ্ হজম,পেট ফাঁপা ও বুকজ্বালার সমাধান।অর্ধেক চামচ ভাজা মৌরী খাওয়ার পর খান পেট ফাঁপা বা উদ্গার প্রবণতা কমাতে।
হিং : এ্যাসিডিটি থেকে উৎপন্ন গ্যাস তৈরী রোধ করতে হিং খুব কার্যকরী। গ্যাসের জন্য পেটের যণ্ত্রণার উপষমও ঘটায় এই উপাদানটি।উষ্ণ গরম জলে এক ফোঁটা হিং মেশান। কিছুদিন এটি খেয়ে দেখুন সেরা ফলাফলের জন্য।