একেই বলে চার চাকার প্রতারণা!
কলকাতা টাইমস :
প্রভু যিশু যেন আশীর্বাদ পাঠিয়েছিলেন সুদূর সাড়ে চারশো কিলোমিটার দূরের সাও পাওলোতে? নইলে কী করে পঙ্গু মানুষও অর্জন করে চলৎশক্তি, লাফিয়ে উঠে দু’পায়ে দাঁড়িয়ে যায় গোলের উচ্ছ্বাসে! এমন অলৌকিক সব কাজই ঘটে বিশ্বকাপে। আসলে জালিয়াতি।
ছাত্র, অবসর ভাতাভোগী ও শারীরিকভাবে চলৎশক্তিহীনদের জন্য বিশেষ হ্রাসকৃত মূল্যে টিকিটে দেয় ফিফা। কিন্তু সেই টিকিট চলে যায় অন্যদের হাতে। তারাই এ টিকিট নিয়ে স্টেডিয়ামে। শারীরিকভাবে সুস্থ লোকজন দিব্যি পঙ্গু সেজে হুইল চেয়ারে চড়ে চলে যান খেলা দেখতে।
তাদেরই কান্ড বহু বার ধরা পড়েছে স্টেডিয়ামের সিসিটিভি ফুটেজ ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এমন ২২টি ছবি দেখেই অবৈধভাবে সুবিধা নেওয়া এ ফুটবল ভক্তদের খুঁজছে ব্রাজিল পুলিশ। সাও পাওলোর একটি ম্যাচে হুইলচেয়ারে বসা জনৈক মহিলা ফুটবল ভক্তের দাঁড়িয়ে যাওয়া ছবি দেখে একজন ব্রাজিল সমর্থকের মন্তব্য, ‘বিশ্বকাপে অলৌকিক কত কিছুই না হচ্ছে।’
তবে ব্রাজিলিয়ান আইনজীবী সোনিতা হাওয়ার্ড এসব প্রমাণ দেখে বলছেন, ‘তারা নিশ্চয়ই এখন আর নিজেদের এতটা চালাক ভাবছেন না।’ স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, বেহাত হয়ে যাচ্ছে বিশেষ সুবিধার হ্রাসকৃত মূল্যের এই টিকিটগুলো।
আবার অনেকেই বলছেন, পুলিশের জন্য ব্যাপারটা জটিল হয়ে যাবে এ জন্য যে, অনেকেই হয়তো লম্বা সময় দাঁড়াতে বা হাঁটতে না পারলেও কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়াতে পারেন। তাই কে আসল আর কে নকল, সেটা বাছতেও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।