কেফিনের জাদুতেই এগুলি পান করতে মন মরিয়া ?
কলকাতা টাইমস :
সারা দিনের কর্মব্য়স্ত জীবনের পর এক পেয়ালা গরম কফি বা চায়ে চুমুক দিতে কার না মন চায়। তাই তো নার্ভ স্টিমুলেন্ট হিসাবে সারা বিশ্বে এইসব পানীয়র এত চাহিদা। আসলে চা, কফি, এমনকী সোডাতে কেফিন নামে একটি উপাদান থাকে, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এক রকমের তরতাজা অনুভূতি হয়। কেন এমনটা হয় জানেন? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে কেফিন আদতে এক প্রকার সাইকোঅ্যাকটিভ ড্রাগ। তবে চিরাচরিত ড্রাগগুলি খেলে যেমন হেলুসিনেশন হয়, কেফিন খেলে যদিও তেমনটা হয় না। দিনে এক কাপ কফি খাওয়া য়েতে পারে। তবে কোনও ভাবেই কেফিন রয়েছে এমন এনার্জি ড্রিঙ্ক এবং ওষুধ খাওয়া চলবে না। কারণ এগুলি খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। এখানেই শেষ নয়। কেফিন সম্পর্কিত আরও এমন কিছু তথ্য আছে যা সকলের জানাটা খুব প্রয়োজন।
তথ্য ১: কেফিন শরীরে প্রবেশ করা মাত্র তা আমাদের নার্ভাস সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। তাই তো কফি বা চা খাওয়ার পর শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে, বাড়ে কর্মক্ষমতা। অ্যালোভেরা জুস পান করলেই নির্মূল হবে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা!
তথ্য ২: অনেকেই মনে করেন বাকি ড্রাগগুলির থেকে কেফিন অনেক বেশি নিরাপদ। একথা ঠিক যে এক কাপ কফি বা চা খেলে কেউ অসুস্ত হয়ে পরেন না। তবে বেশি মাত্রায় কেফিন যদি শরীরে প্রবেশ করে তাহলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আর এমন ঘটনা যে ঘটেনি, তাও নয় কিন্তু! তাই সাবধান!
তথ্য ৩: হঠাৎ করে যদি কেউ কেফিন খাওয়া ছেড়ে দেন, তাহলে শরীরে বিরূপ প্রভাব পরে। যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় উইথড্রল সিনড্রম বলা হয়। প্রসঙ্গত, যারা কেফিন ওষুধ হিসাবে গ্রহণ করেন, তাদের ক্ষেত্রে বেশি সমস্য়া হয়।
তথ্য ৪: কফি এবং চকলেটের মধ্য়ে কী মিল আছে বলুন তো? দুটিতেই থিয়োব্রমিন নামে একটি কেমিকেল রয়েছে, যা কেফিনের মতোই। এবার বুঝতে পারছেন তো চকলেট খেলে কেন আমাদের মন ভাল হয়ে যায়!
তথ্য ৫: তাহলে কি আজ থেকেই চা-কফি খাওয়াতে লাগাম টানতে হবে? আরে না না! এমন কিছু করার প্রয়োজন নেই। শুধু মাত্রাতিরিক্ত হারে খাবেন না। প্রসঙ্গত, দিনে এক কাপ কফি খেলে কিন্তু শরীর ভাল থাকে। শুধু তাই নয়, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, ডিমেনশিয়া এবং নানা রকমের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজও দূরে থাকে। তাই তো বলি, ওই যে কথায় আছে না- সব কিছু নিয়ন্ত্রণে রাখা ভালো, বেসামাল হলেই কিন্তু বিপদ!
তথ্য ৬: প্রেগনেন্ট মহিলারা ভুলেও কেফিন জাতীয় খাবার বা পানীয় খাবেন না। কারণ একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে গর্ভাবস্থায় কেফিন সেবন করলে গর্ভপাতের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
তথ্য ৭: কেফিনের নানা উপকারিতা থাকলেও বেশি মাত্রায় এটি সেবন করা একবারেই উচিত নয়। যেমনটা আগেও বলেছি, বেশি মাত্রায় কেফিন শরীরে প্রবেশ করলে যেমন মৃত্যু হতে পারে, তেমনি হঠাৎ করে যদি কেউ এটি ছাড়তে চান, তাহলেও নানা অসুবিধা দেখা দিতে পারে। তাই দিনে এক কাপ কফি খাওয়া চলতে পারে। তার থেকে বেশি খাওয়া একেবারেই চলবে না।