জানেন কি চটপটে এই খাবারে কিডনি থেকে হার্ট সবই শেষ
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
আচার সামনে এলেই যাদের জিভে জল এসে যায়, তাদের তো এই প্রবন্ধটি পড়া মাস্ট! কারণ সেই ছোট বেলা থেকে চেটেপুটে খেয়ে গেলও এমন খাবার শরীরের পক্ষে আদৌ ভাল কিনা, সে নিয়ে তো কেউ এক বারের জন্যও চিন্তা করেন না। তাই তো এই প্রবন্ধটি লেখা। এখানে আচার সম্পর্কিত এমন কিছু তথ্য তুলে ধরা হবে, যা পড়তে পড়তে আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য! ভোজনরসিক বাঙালিদের পক্ষে আচার থেকে দূরে থাকাটা সম্ভব নয়। তাই অল্প বিস্তর এমন খাবার খাওয়া চলতে পারে। কিন্তু বেশি মাত্রায় আচার খেলে কিন্তু হতে পারে নানাবিধ রোগ। একদম ঠিক শুনেছেন! একাধিক কেস স্টাডি করে একথা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে যে আচার নানা ভাবে শরীরের ক্ষতি করে থাকে।
যেমন…
তেল: আচারে অনেক বেশি মাত্রায় তেল ব্যবহার করা হয়। আর এই পরিমাণ তেল শরীরে প্রবেশ করলে কি হতে পারে জানা আছে? এমনটা হলে শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে নানা ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই মাঝে মধ্যে আচার খাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু বেশি মাত্রায় এমন খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা: আচারে উপস্থিত নানা রকমের মশলা পেটের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই সাবধান! যেমনটা আপনাদের সকলেই জানা আছে যে বেশি মশলাদার খাবার সহজে হজম হতে চায় না। ফলে শরীর খারাপ হতে শুরু করে। আচারের ক্ষেত্রেও এই একই ঘটনা ঘটে।
নুন: আচারে মাত্রতিরিক্ত পরিমামে নুন থাকে। আর এই পরিমাণ নুন শরীরে প্রবেশ করতে থাকলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে শরীরে জলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে আরও নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই তো যারা ইতিমধ্যেই হাই ব্লাড প্রেসারের মতো রোগে আক্রান্ত, তাদের আচার খাওয়া একেবারে ছেড়ে দেওয়া উচিত।
কিডনি: আচার উপস্থিত নানাবিধ উপাদান কিডনির উপর খুব চাপ ফেলে। যে কারণে ধীরে ধীরে কিডনির কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, খেতে ভাল লাগলেও আচার কিন্তু শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়।
হজম ক্ষমতা: বেশি মাত্রায় আচার খেলে হজম ক্ষমতা একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়ার মতো রোগ বারংবার হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার: একাদিক গবেষণয়া এমনটা দেখা গেছে যে বেশি মাত্রায় ঝাল আচার খেলে এমন ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই খাদ্যরসিক বাঙালিরা সাবধান। ডাল বা পরটার সঙ্গে আচার খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু বেশি মাত্রায় খাওয়া চলবে না একেবারেই।