মাঝেমধ্যে স্ত্রীর পরকীয়াকে মান্যতা দিয়ে এই কোর্ট যা বলল !
তবে হাইকোর্টের বিচারপতি চন্দ্রধারী সিং এ-ও বলেছেন, ভরণপোষণ প্রদানে বাধা তখনই প্রযোজ্য হবে, যদি স্ত্রীর দ্বারা ক্রমাগত এবং বারবার পরকীয়ার নির্দিষ্ট প্রমাণ থাকে।
দিল্লির পারিবারিক আদালত কিছুদিন আগে এক ব্যক্তিকে তার স্ত্রীর ভরণপোষণের জন্য ১৫ হাজার করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ওই ব্যক্তি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তার পরই এই রুল জারি করলেন বিচারক।যদিও ওই ব্যক্তি ভরণপোষণের অর্থ স্ত্রীকে প্রদান করার বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, এই মামলায় একাধিক ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে এই নির্দেশের কোনো যুক্তি নেই।
ওই ব্যক্তির মতে, তার স্ত্রী চরম নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছে এবং পরিকীয়ায় জড়িয়েছে। এমনকি স্বামীকে পরিত্যাগ করে অন্য পুরুষের সঙ্গে বসবাস করছে।
যদিও হাইকোর্ট জানিয়েছে, ভরণপোষণ না দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষ্ঠুরতা ও হেনস্তার কোনো জায়গা নেই এ ধরনের মামলায় এবং বিবাহবিচ্ছেদ যদি অনুমোদিত হয় নিষ্ঠুরতার কারণে, তবে আদালত স্থায়ী ভরণপোষণের ব্যবস্থা করে দেয় স্ত্রীর জন্য।
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি চন্দ্রধারী সিং বলেন, ভারতের ভরণপোষণ আইন সম্পর্কে ইতোমধ্যে বিভিন্ন হাইকোর্ট যে মত পোষণ করেছেন, তা হলো- স্ত্রী যদি নিয়মিত পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান অথবা তার প্রেমিকের সঙ্গে বসবাস করেন, সে ক্ষেত্রে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৫ (৪) ধারা প্রযোজ্য হবে।
ভারতীয় দণ্ডবিধির এই ধারাটিতে স্ত্রী, শিশুসন্তান ও বাবা-মায়ের ভরণপোষণের কথা বলা হয়েছে। তাতে উল্লেখ রয়েছে, কোনো স্ত্রী যদি স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে বসবাস করেন অথবা যথেষ্ট কারণ ছাড়া স্বামীর সঙ্গে থাকতে অস্বীকার করেন, তাহলে তিনি স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণের অর্থ পাবেন না। তবে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে হাইকোর্ট ওই ব্যক্তির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
বিচারপতি বলেছেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য কোনো স্ত্রী ভরণপোষণ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন না। এমনকি স্ত্রীর নিষ্ঠুরতার জন্য যদি বিবাহবিচ্ছেদও হয়, তবুও তিনি ভরণপোষণ পাবেন।
রায়ের শেষে বিচারপতি বলেন, কোনো ব্যক্তির স্ত্রী, সন্তান বা বাবা-মা যেন অর্থাভাবে না পড়েন, সে জন্যই ভরণপোষণ আইন তৈরি হয়েছে। কিন্তু অনেক সময় সেই দায়িত্ব কাঁধ থেকে নামানোর চেষ্টা করা হয়।