November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ব্লাড গ্রূপ দেখে জেনে যাওয়া সম্ভব আপনি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হবেন কিনা

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
শুনতে আজব লাগলেও বাস্তবিকই কিন্তু এমনটা সম্ভব। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে যাদের “ও” বিভাগের রক্ত নয়, যেমন এ, বি, এবি প্রভৃতি, তাদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাকিদের তুলনায় প্রায় ৯ শাতংশ বেশি থাকে। এখানেই থেমে না থেকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে গবেষকরা জানার চেষ্টা করেছিলেন এমনটা কেন হয়। এ বিষয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তারা দেখেছেন এক্ষেত্রে “ভন উইলবার্ড ফ্যাক্টর” বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কী এই ভন উইলবার্ড ফ্যাক্টর? আসলে আমাদের রক্ত যাতে ঠিক মতো জমাট বাঁধে তার জন্য বিশেষ এক ধরনের প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই প্রোটিনটি যদি ঠিক মতো নিজের কাজ না করে, তাহলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। একানেই শেষ নয়। এই গবেষণায় আরও উঠে এসেছে যে “এ” বিভাগের রক্ত যাদের, তাদের নানা কারণে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেশি থাকে। আর একথা তো সকলেই জানেন যে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা শরীরে যত বৃদ্ধি পাবে, তত হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়বে। অপরদিকে, “ও” বিভাগের রক্ত যাদের শরীরে বইছে না, তাদের শরীরে গেকটিন-৩ নামক এক ধরনের প্রোটিনের মাত্রা খুব বেশি থাকে। এই বিশেষ ধরনের প্রোটিনটি শরীরে নানা রকমের নেতিবাচক পরিবর্তন করে হার্টের কর্মক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে এক সময়ে গিয়ে হার্ট ফেলিওয়ের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
এই প্রোজেক্টের অন্যতম সদস্য টিসা কোল এ প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে বলেছিলেন, ও বিভাগের রক্ত ছাড়া বাকিদের শরীরে নানা সময়, নানা কারণে বেশ কিছু রদ বদল হতে থাকে, যা অনেক ক্ষেত্রেই হার্টের জন্য ভাল নয়। তাই তো ও বিভাগ ছাড়া বাকিদের প্রতি নিয়ত নিজেদের শরীরে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। না হলে কিন্তু যে কোনও সময়, যে কোনও মুহূর্তে খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
প্রসঙ্গত, এই গবেষণাটির জন্য গবেষকেরা “ও” এবং বাকি বিভাগের রক্তের অধিকারিদের উপর মেটা অ্যানালিসিস নামে বিশেষ এক ধরনের পরীক্ষা চালিয়েছিল। এই অত্যাধুনিক টেস্টটির মাধ্যমে দেখার চেষ্টা হয়েছিল রক্তের বিভাগের উপর কীভাবে হার্ট অ্যাটার্ক, করোনারি আর্টারি ডিজিজ, ইসকেমিক হার্ট ডিজজ, হার্ট ফেলিওর সহ নানাবিধ হার্টের রোগের সম্পর্কে রয়েছে। আর এই গবেষণার যে ফল পাওয়া গেছে তা যে কতটা ভয়ানক, তা নিশ্চয় বলার অপেক্ষা রাখে না।
এবার বুঝতে পারছেন তো রক্তকে বিশ্লষণ করে কত কিছুই না জেনে নেওয়া সম্ভব আমাদের শরীর সম্পর্কে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ, যাদের ও বিভাগের রক্ত নয়, তারা সময় থাকতে থাকতে নিজেদের খেয়াল রাখবেন। কোনও ভাবেই যাতে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধি প্রভৃতি সমস্যা যাতে না দেখা দেয় বিষয়ে সচেতন থাকবেন। তাহলেই দেখবেন দীর্ঘ কাল আপনার হার্ট সুস্থ-সুন্দর ভাবে নিজের কাজ চালিয়ে যেতে পারবে।

Related Posts

Leave a Reply