১৮ কেজি মংস, ১০০টি ডিম্ খাওয়া তার কাছে নস্যি
নিউজ ডেস্কঃ
গ্রামে যারা বড় হয়েছেন, তাদের অনেকেই ছোটবেলা থেকে শুনে আসেন, তাদের গ্রামের কেউ কেউ ৮০টি রুটি, পাঁচ কেজি চালের ভাত, তিনকেজি খাসির মাংস একসঙ্গে খেতে পারেন। আবার একাই বড় একটা কাঁঠাল খেয়ে ফেলা কিংবা এক গামলা মিষ্টি শেষ করারও গল্প শোনা যায়।
কিন্তু এবারে যতটা খাবার তথ্য পাওয়া গেছে, যা শুনলে রীতিমতো চোখ কপালে উঠবে। শুনবেন !একসঙ্গে ১৮ কেজি খাসির মাংস এবং মুরগির একশ ডিম একসঙ্গে খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছেন এক ব্যক্তি। এখানেই শেষ নয়। তিনি যেমন খান, তেমনি কাজও করেন। ১১ মণ ওজনের গাছের গুঁড়ি একাই কাঁধে তুলে নিয়ে যেতে পারেন। এক দৌড়ে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন স্বাভাবিকভাবে। টানা চার ঘণ্টা সাঁতার দিয়েও ক্লান্ত হন না। একশ ২৫ কেজি ওজনের বিশাল শরীর নিয়ে ডাব গাছে উঠে ডাবও পেড়ে খান।
তার নাম বাবুল আক্তার। সবাই তাকে পেটকু বাবুল বলেই ডাকেন। বাংলাদেশের রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের মৃত খেলাফত উল্লাহ সরকারের ছেলে তিনি। জানা গেছে, তার বাবাও শক্তিশালী মানুষ ছিলেন। বাবুলের স্বাভাবিক খাদ্য তালিকায় গরুর পাঁচ কেজি মাংস লাগতো। তবে তার সুস্থতার কথা চিন্তা করে পরিবারের লোকজন সেভাবে খেতে দেয় না। বাবুল আক্তার জানান, ছোটবেলা থেকেই অনেক বেশি খেতে পারি। জন্মের পর নাকি সাড়ে সাতশ গ্রাম দুধ একসঙ্গে পান করতে পারতাম। পরে আস্তে আস্তে এই খাবারের পরিমান আরো বাড়ে ।
তিনি আরো বলেন, কেউ বাজি ধরলে ১০ থেকে ১৫ কেজি মাংস ও শখানেক ডিম খেয়ে ফেলি। এখনো পারবো। কিন্তু বয়সের কারণে ডাক্তারের কথা অনুযায়ী খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় ‘ভূত রেস্তোরাঁ’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ১৮ কেজি খাসির মাংস এবং একশ ডিম এক বসাতেই খেয়ে ফেলেছি বলেও দাবি করেন তিনি।