অবাক হবেন বিশ্বের প্রথম ক্রিসমাস কার্ডের রহস্য জেনে
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ক্রিসমাস আসলেই কার্ড কিনে প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা জানানোর হিড়িক পড়ে যায়। অনেক রঙ-বেরঙের, আধুনিক ডিজাইনের ক্রিসমাস কার্ড শোভা পায় বিভিন্ন গিফট শপে এমনকি ঘরের শোকেসে।
কার্ড প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো প্রচুর পরিমাণে ক্রিসমাস কার্ড উৎপাদন করে থাকে। আমাদের দেশে কম হলেও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে মিলিয়ন এমনকি বিলিয়নের উপরে কার্ড ছাপা হয়। এর শুরু হয়েছিল কিন্তু একেবারেই স্বল্প পরিসরে। দেড়শ বছরেরও আগে, লন্ডনে হাজারখানেক কার্ড ছাপা হবার মাধ্যমে এই সংস্কৃতির সুচনা হয়।
বাড়িতে এবং হাতে তৈরি ক্রিসমাস কার্ড তৈরির চল আগে থেকেই ছিল। এ সময়ে উদ্ভাবক স্যার হেনরি কোল ভাবলেন, এই প্রক্রিয়াটিকে কিভাবে আরও দ্রুতগতির করা যায়? তখনও প্রিন্টিং প্রযুক্তি বেশ নতুন ছিল। আরটিস্ট জন ক্যালকটকে তিনি বলেন, উৎসবের আমেজে একটি নকশা তৈরি করতে। আর এর পর সেই কার্ডের হাজারখানেক কপি তৈরি করেন তিনি।
এটা ১৮৪৩ সালের ঘটনা। নিজের ব্যবহার মেটানোর পরে বাকি কার্ডগুলোকে তিনি প্রতিটি এক শিলিং দামে বিক্রি করে দেন। সংগ্রাহক জন গ্রসম্যানের দান করা এমন একটি কার্ড ডেলাওয়ারের উইন্টারহার লাইব্রেরি সংরক্ষণ করে রেখেছে। সর্বপ্রথম বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা ক্রিসমাস কার্ড হিসেবে তার এই কার্ডকেই ধরা হয়। অন্যান্য বিভিন্ন লাইব্রেরি এবং আর্কাইভে এই কার্ডের প্রায় ২০টি কপি এখন সংরক্ষিত আছে।
এই ক্রিসমাস কার্ডে দেখা যায় উৎসবপালনরত একটি পরিবার। তবে এর পাশাপাশি রয়েছে দরিদ্র মানুষকে খাদ্য ও পোশাক দানের ছবি। এছাড়া ক্রিসমাস এবং নববর্ষের শুভেচ্ছা দেওয়া হয় একই সাথে। ইংল্যান্ডের এই কার্ড সংস্কৃতি দ্রুত আমেরিকাতেও ছড়িয়ে যায়।
১৮৫০ সালের দিকে ফিলাডেলফিয়া থেকে বের হওয়া আরেকটি কার্ডে দেখা যায়, একটি পরিবার উৎসবে মাতোয়ারা এবং পেছনে একজন পরিচারক টেবিল সাজাচ্ছে। এমন অনেক কার্ড আছে যাতে তুষারমানব, সান্টা ক্লজ, ফুল-লতা-পাতার তোড়া, বাচ্চাদের গান ইত্যদি দৃশ্য উঠে এসেছে। কিন্তু এর ব্যাতিক্রমও ছিল।
প্রথম দিকের কিছু ক্রিসমাস কার্ডের বিষয় ছিল একেবারেই অন্যরকম। জন গ্রসম্যানের বই ‘Christmas Curiosities’ এ এমন সব কার্ডের কথা বলা হয়েছে যা আমাদের কাছে লাগতে পারে অদ্ভুত এমনকি ভয়াল।
ইউরোপীয় লোককথায় ক্র্যাম্পাস নামের একটি রাক্ষসের বর্ণনা দেওয়া আছে, যে কিনা ক্রিসমাসের সময়ে অবাধ্য বাচ্চাদের টেনে নিয়ে যেত পাতালপুরীতে এবং এই দৃশ্যটি কিছু ক্রিসমাস কার্ডের বিষয় ছিল। দুটি পাইন গাছ পরস্পরকে চুমু খাচ্ছে, সান্টা ক্লজ ক্রিসমাস ট্রি থেকে সিগারেট জ্বালাচ্ছে, মানুষের মত চেহারার ইঁদুর ক্রিসমাস ট্রি সাজাচ্ছে ইত্যাদি।
এগুলো না হয় উদ্ভট বলে উড়িয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু কয়েকটি কার্ডে দেখা যায়, একটা মরা পাখি পা ওপরে দিয়ে পড়ে আছে, ওপরে লেখা, ‘May yours be a joyful Christmas’। এর পেছনে কি কারণ থাকতে পারে তা অবশ্য জানা যায়নি। তখনকার মানুষের রুচিটাই হয়তো একটু ভিন্ন ছিল!
কার্ড প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো প্রচুর পরিমাণে ক্রিসমাস কার্ড উৎপাদন করে থাকে। আমাদের দেশে কম হলেও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে মিলিয়ন এমনকি বিলিয়নের উপরে কার্ড ছাপা হয়। এর শুরু হয়েছিল কিন্তু একেবারেই স্বল্প পরিসরে। দেড়শ বছরেরও আগে, লন্ডনে হাজারখানেক কার্ড ছাপা হবার মাধ্যমে এই সংস্কৃতির সুচনা হয়।
বাড়িতে এবং হাতে তৈরি ক্রিসমাস কার্ড তৈরির চল আগে থেকেই ছিল। এ সময়ে উদ্ভাবক স্যার হেনরি কোল ভাবলেন, এই প্রক্রিয়াটিকে কিভাবে আরও দ্রুতগতির করা যায়? তখনও প্রিন্টিং প্রযুক্তি বেশ নতুন ছিল। আরটিস্ট জন ক্যালকটকে তিনি বলেন, উৎসবের আমেজে একটি নকশা তৈরি করতে। আর এর পর সেই কার্ডের হাজারখানেক কপি তৈরি করেন তিনি।
এটা ১৮৪৩ সালের ঘটনা। নিজের ব্যবহার মেটানোর পরে বাকি কার্ডগুলোকে তিনি প্রতিটি এক শিলিং দামে বিক্রি করে দেন। সংগ্রাহক জন গ্রসম্যানের দান করা এমন একটি কার্ড ডেলাওয়ারের উইন্টারহার লাইব্রেরি সংরক্ষণ করে রেখেছে। সর্বপ্রথম বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা ক্রিসমাস কার্ড হিসেবে তার এই কার্ডকেই ধরা হয়। অন্যান্য বিভিন্ন লাইব্রেরি এবং আর্কাইভে এই কার্ডের প্রায় ২০টি কপি এখন সংরক্ষিত আছে।
এই ক্রিসমাস কার্ডে দেখা যায় উৎসবপালনরত একটি পরিবার। তবে এর পাশাপাশি রয়েছে দরিদ্র মানুষকে খাদ্য ও পোশাক দানের ছবি। এছাড়া ক্রিসমাস এবং নববর্ষের শুভেচ্ছা দেওয়া হয় একই সাথে। ইংল্যান্ডের এই কার্ড সংস্কৃতি দ্রুত আমেরিকাতেও ছড়িয়ে যায়।
১৮৫০ সালের দিকে ফিলাডেলফিয়া থেকে বের হওয়া আরেকটি কার্ডে দেখা যায়, একটি পরিবার উৎসবে মাতোয়ারা এবং পেছনে একজন পরিচারক টেবিল সাজাচ্ছে। এমন অনেক কার্ড আছে যাতে তুষারমানব, সান্টা ক্লজ, ফুল-লতা-পাতার তোড়া, বাচ্চাদের গান ইত্যদি দৃশ্য উঠে এসেছে। কিন্তু এর ব্যাতিক্রমও ছিল।
প্রথম দিকের কিছু ক্রিসমাস কার্ডের বিষয় ছিল একেবারেই অন্যরকম। জন গ্রসম্যানের বই ‘Christmas Curiosities’ এ এমন সব কার্ডের কথা বলা হয়েছে যা আমাদের কাছে লাগতে পারে অদ্ভুত এমনকি ভয়াল।
ইউরোপীয় লোককথায় ক্র্যাম্পাস নামের একটি রাক্ষসের বর্ণনা দেওয়া আছে, যে কিনা ক্রিসমাসের সময়ে অবাধ্য বাচ্চাদের টেনে নিয়ে যেত পাতালপুরীতে এবং এই দৃশ্যটি কিছু ক্রিসমাস কার্ডের বিষয় ছিল। দুটি পাইন গাছ পরস্পরকে চুমু খাচ্ছে, সান্টা ক্লজ ক্রিসমাস ট্রি থেকে সিগারেট জ্বালাচ্ছে, মানুষের মত চেহারার ইঁদুর ক্রিসমাস ট্রি সাজাচ্ছে ইত্যাদি।
এগুলো না হয় উদ্ভট বলে উড়িয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু কয়েকটি কার্ডে দেখা যায়, একটা মরা পাখি পা ওপরে দিয়ে পড়ে আছে, ওপরে লেখা, ‘May yours be a joyful Christmas’। এর পেছনে কি কারণ থাকতে পারে তা অবশ্য জানা যায়নি। তখনকার মানুষের রুচিটাই হয়তো একটু ভিন্ন ছিল!