November 25, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

সন্ধ্যা ৬ টার পর না খেলে কি সত্যি রোগা হওয়া সম্ভব?

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
জন কমানোর কথা উঠলেই ৯০ শতাংশ মানুষই ডায়েটে কাটছাঁট করা শুরু করে দেন। খাওয়া কমিয়ে তারা মেদ ঝড়াতে চান। কিন্তু তাতে যে খুব একটা ফল মেলে, এমন নয়। উল্টে দেহের অন্দরে পুষ্টির অভাব দেখা দেওয়ার কারণে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। তাই তো চর্বির বিরুদ্ধে ষুদ্ধ ঘোষণার আগে নিজের শরীরটা সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়াটা জরুরি, না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ! এক্ষেত্রে প্রথমেই যেদিকে নজর রাখতে হবে, তা হল কোন কোন সময় খাওয়া চলবে, আর কোন সময় নয়। আর এই জন্যই তো এই তত্ত্বটির সত্য-মিথ্যা জানাটা জরুরি যে বাস্তবিকই সন্ধ্যা ৬ টার পর না খেলে কি ওজন কমে? নাকি ধারণটা ভাঁওতা ছাড়া আর কিছুই নয়!
সময়ের সঙ্গে যে ওজন বাড়া বা কমার যে একটা সরাসরি সম্পর্ক আছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ একাধিক গবেষণায় একথা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে গেছে যে সূর্য ওঠার সময় অর্থাৎ সকাল বেলা আমাদের মেটাবলিজম সবথেকে বেশি থাকে। যত দিন এগতে তাকে তত মেটাবলিজম কমতে শুরু করে, যা সন্ধ্যার সময় একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। তাই তো সূর্য ডোবার পর পেট পুরে খেলে শরীরের পক্ষে সেই খাবারকে কাজে লাগানো সম্ভব হয় না, ফলে বেশিরভাগটাই চর্বি হিসেবে জমতে শুরু করে। আর এমনটা হলে ওজন যে বাড়বেই তা বলাই বাহুল্য!
সন্ধ্যা ৬ টা এবং ওজন বৃদ্ধি: একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে ঘরির কাঁটা ছয়ের ঘরে পৌঁছানো মাত্র, পেটের মধ্যে থাকা চুল্লির আঁচ কমতে শুরু করে। ফলে খাবার শরীরের কাজে লাগে কম, বরং মেদ হিসেবে তা পেটে জমতে শুরু করে। তাই তো ৬ টার পর যত কম খাবেন, তত দেখবেন ওজন কমতে শুরু করেছে। তাই তো যারা রোগা হতে চান, তারা কব্জি ডুবিয়ে খাওয়াটা লাঞ্চ পর্যন্ত করুন। তারপর থেকে ভিখারির মতো খাওয়া শুরু করুন। এমননটা করলে ফল যে পাবেনই , তা হলফ করে বলতে পারি।
রাতে যদি ক্ষিদে পায়, তাহলে? ক্ষিদে পেলে তো খেতেই হবে। আর একথা তো ঠিক যে কেউ যদি সন্ধ্যা ৬ টায় রাতের খাবার খেয়ে নেন তাহলে ৮-৯ টা নাগাত ক্ষিদে পাওয়াটা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে এমন খাবার খাবেন যাতে ক্য়ালোরির পরিমাণ কম রয়েছে। আর মিষ্টি জাতীয় খাবার বা জাঙ্ক ফুড খাওয়া একেবারেই চলবে না। তাহলেই আর কোনও চিন্তা থাকবে না। প্রসঙ্গত, রাতের দিকে ক্ষিদে পেলে হোল গ্রেন এবং লিন প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে পারেন। এমন খাবার খেলে ওজন বারে না। কিন্তু ক্ষিদের আগুন অনেকটাই কমে যায়।
সারা দিনের খাওয়ার ধরন হবে এমন: ব্রেকফাস্ট হবে রাজার মতো। মানে এই সময় অনেক পরিমাণে খেলেও কোনও ক্ষতি নেই। তবে খেয়াল রাখবেন ব্রেকফাস্টে যেন কম করে ২০ গ্রাম প্রোটিন থাকেই। ব্রেকফাস্টের ৩-৪ ঘন্টা পরেই লাঞ্চের সময় হয়ে যাবে। এই সময়ও প্রোটিন সমৃদ্ধি খাবার খেতে হবে। দুপুরের খাবার খাওয়ার ৩ ঘন্টা পর দেখবেন আবার ক্ষিদে ক্ষিদে পাচ্ছে। এই সময় হালকা কিছু খেতেই পারেন। তবে ৬ টার পর ভুলেও খাবার খাওয়া চলবে না। প্রয়োজনে রাতের খাবার এই সময়ের আগেই খেয়ে ফেলতে হবে। এই রুটিন মেনে কয়েকদিন খাওয়া-দাওয়া করলেই ফল পাবেন একেবারে হাতে নাতে।

Related Posts

Leave a Reply