রাতের বেলা দই খান নাকি ?
কলকাতা টাইমস :
বছরের দু-তিন মাস বাদে বাঙালিরা প্রায় সারা বছরই দই খেয়ে থাকেন। শেষ পাতে বাড়িতে পাতা দইয়ের স্বাদ না পেলে যে বঙ্গ জীবনে কোথাও একটা ছেদ থেকে যায়। আচ্ছা দই তো শরীরের পক্ষে খুব উপকারি। কিন্তু কোন সময় দই খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়, তা কি জানা আছে?
অনেকে বলেন সূর্য যতক্ষণ পশ্চিমমুখো না হচ্ছে ততক্ষণ দই খাওয়া চলতেই পারে। কিন্তু সন্ধা নামার পর নৈব নৈব চ! কিন্তু কেন? রাতের বেলা দই খেলে কি বাস্তবিকই কোনও ক্ষতি হয়? এই সব প্রশ্নেরই বিজ্ঞানসম্মত উত্তর জানার চেষ্টা চালানো হল এই প্রবন্ধে।
অল্পতেই ঠান্ডা লাগে নাকি?
সাধারণত রাতের বেলা দই খেলে সেভাবে শরীরে কোনও ক্ষতি হয় না। কিন্তু যাদের সহজেই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ধাত রয়েছে, তাদের সন্ধ্যার পর দই না খাওয়াই ভাল। কারণ আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে সূর্য ডোবার পর দই খেলে শরীরে অন্দরে মিউকাস জমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সর্দি-কাশির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়।
রাতের বেলা বিশেষ নিয়ম!
দিনের বেলা শুধু শুধু দই খাওয়া চলতে পারে! কিন্তু যদি রাতের বেলা দই খাওয়ার ইচ্ছা জাগে, তাহলে অল্প চিনি বা গোলমরিচ মিশিয়ে দইটা খেতে হবে। এমনটা করলে হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। ফলে গ্যাস-অম্বলের আশঙ্কা কমবে।
গরম গরম কখনও নয়:
ভুলেও রাতের বেলা গরম গরম দই খাবেন না। এমনটা করলে শরীরের ক্ষতি হবে। যদি খেতেই হয়, তাহলে তা ঠান্ডা করে খাওয়া উচিত।
দই ভাতে স্বাস্থ্যদ্ধার:
রাতের বেলা যদি দই খেতেই হয়, তাহলে দই ভাত খাবেন। এই খাবারটি শরীরকে ঠান্ডা করার পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
দই-চিনি:
অনেকে বলে দইয়ের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খেলে দইয়ের গুণ নষ্ট হয়ে যায়। এই ধরণা কি ঠিক? মোটেই না। পরিমাণ মতো দইয়ে অল্প করে চিনি মিশিয়ে খেলে দই বা শরীর, কিছুরই ক্ষতি হয় না। বিশেষত রাতের বেলা যদি দই খান তাহলে অল্প করে চিনি তো অবশ্য়ই মেলাবেন।
রায়তা:
বেশ কিছু বিশেষজ্ঞের মতে রাতের বেলা দই খেলে তার প্রকৃতিটা একটু পরিবর্তন করে রায়তা বানিয়ে নিলে বরং শরীরের বেশি উপকার হয়। আর যদি রায়তায় নানা ধরনের সবজি এবং লঙ্কা মেশানো থাকে তাহলে তো কথাই নেই!