নিজেকেও বাহুবলী ভাবতে পারেন সেই জলপ্রপাত দেখে
কোচি থেকে ৭২ কিমি, গাড়ি বা বাসে আসুন। আসলেই দেখতে পাবেন জল কীভাবে ৮০ ফুট ওপর থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ছে চলাকুডি নদীতে। সে এক মনোরম দৃশ্য। যা লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
বাহুবালি ছাড়াও আথিরাপাল্লি জলপ্রপাতে বলিউডের অনেক সিনেমার শুটিং হয়েছে। ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের ‘গুরু’ সিনেমার ‘বারসো রে মেঘা মেঘা’ গানের শুটিং হয়েছে আথিরাপাল্লি জলপ্রপাতে। এছাড়াও ‘দিল সে’ সিনেমাসহ দক্ষিনী প্রচুর সিনেমার শুটিং এখানে হয়েছে। আথিরাপাল্লি মূলত বিখ্যাত হয়েছে ‘বাহুবালী-১’সিনেমার পর থেকে।
এবার ঈদে আপনি যদি কেলারা যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে তাহলে অপবশ্যই ‘কচি’ যেন মিস না হয়। কারণ জলপ্রপাত দেখার আসল সময় এখন। তাছাড়া আথিরাপাল্লি জলপ্রপাত বলে কথা। এটা মিস করা বোকামিই হবে।
কোথায় থাকবেন
কোচি এয়ারপোর্ট এর পাশে এবং কোচি শহরে প্রচুর হোটেল আছে। ১২০০-১৫০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের হোটেল পেয়ে যাবেন।
যেভাবে যাবেন:
কলকাতার হাওড়া থেকে এর্নাকুলম যাওয়ার দ্রুতগামী ট্রেন অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেস। প্রতি শনিবার বিকেল পাঁচটায় হাওড়া ছেড়ে এর্নাকুলম পৌঁছোয় সোমবার সকাল ছয়টায়। শালিমার থেকে সাপ্তাহিক গুরুদেব এক্সপ্রেস। প্রতি বুধবার রাত ১১:০৫-তে ছাড়ে,
এর্নাকুলম পৌঁছোয় শুক্রবার বিকেল সোয়া তিনটায়। আছে দ্বিসাপ্তাহিক তিরুঅনন্তপুরম এক্সপ্রেস। ছাড়ে প্রতি মঙ্গল এবং রবিবার রাত ১১:০৫-এ। এর্নাকুলম পৌঁছায় বৃহস্পতিবার এবং মঙ্গলবার বিকেল চারটায়। তাছাড়া হাওড়া থেকে করোমণ্ডল বা চেন্নাই মেলে চেন্নাই আসুন। চেন্নাই থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭:৪৫-এ ছাড়ে তিরুঅনন্তপুরম মেল, এর্নাকুলম পৌঁছোয় পরের দিন সকাল ৬:৪৫-এ।
এছাড়া আছে তিরুঅনন্তপুরম এক্সপ্রেসও, ছাড়ে বিকেল ৩.১৫-য়, পৌঁছায় ভোর ৩টায়। এছাড়াও আছে আলেপ্পি এক্সপ্রেস। ২০:৪৫-এ ছেড়ে পরের দিন সকাল ৮:৪০ এ পৌঁছায়।
প্লেনেও যেতে পারেন। কলকাতা থেকে ব্যাঙ্গালুরু হয়ে কোচি।