একই রকম চেহারা কেন ? জানতে হলে পড়ুন
কলকাতা টাইমস :
চেনা নেই। জানা নেই। দেশ ও বেশ এক নয়। তারপরও দেখা যায় যমজ! কি করে সম্ভব? এর ব্যাখ্যাই বা কি? তবে এক গবেষণায় সম্প্রতি বের হয়ে এসেছে এর রহস্য।
যদিও সিগমুন্ড ফ্রয়েড তার যুগান্তকারী প্রবন্ধ ‘দ্য আনক্যানি’-তে এই যমজত্বের ঘটনাটকে ব্যাখ্য করেছিলেন মনস্তত্ত্বের বিন্দু থেকে। তার মতে, নিজের অবিকল প্রতিরূপ এক আতঙ্কের উৎস। এবং তা মনোবিকারের ফলেই জাত।
তবে ফ্রয়েড তার প্রবন্ধে যা-ই বলে থাকুন, সাম্প্রতিক গবেষণা কিন্তু একেবারেই উল্টো পথে হাঁটতে চাইছে। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোবায়োলজির গবেষক মাইকেল শিহান তার এক গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন, নিঃসম্পর্কিত দু’টি মানুষের অবিকল এক চেহারার অধিকারী হওয়ার পিছনে কোনও প্যারানর্মাল বিষয় কাজ করে না।
তিনি বলছেন, কেবল চেহারার সাদৃশ্য নয়, নিঃসম্পর্ক যমজত্ব এত দূর গড়াতে পারে যে, এই অবিকল চেহারাধারীরা আচারে-আচরণেও পরস্পরের প্রতিরূপ হতে পারেন। এমনকী, কোনও তাসের ডেক থেকে তাদের তাস বাছতে বলা হলে তারা একই তাস তুলে নেন।
কী রয়েছে এই ‘লুক-অ্যালাইক’ রহস্যের পিছনে? শিহানের বক্তব্য, বংশগতির একটা খেলা এখানে অবশ্যই কাজ করছে। দুই ভিন্ন দেশে, ভিন্ন কালেও এই যমজ দেখা গিয়েছে। এর কারণ সুদূর অতীতে ঘটে যাওয়া গ্লোবাল মাইগ্রেশন, একই বংশবীজ দুই ভিন্ন ভূগোলে ভিন্ন এথনিসিটির মধ্যে বেড়ে ওঠা। সুতরাং, যদি কোথাও কখনও হামশকল নজরে আসে আপনার, জানবেন, তিনি কোনও না কোনও সূত্রে আপনার আত্মীয়। নিকট না হলেও নিকটজন।