আদিত্যের বিধায়ক পদ টিকিয়ে রেখেই কাছে আসার বার্তা শিন্ডে শিবিরের
কলকাতা টাইমস :
দলীয় হুইপ উপেক্ষা করার অভিযোগে শিব সেনার বেশ কিছু বিধায়ককে বিধায়ক পদ খারিজের নোটিস পাঠিয়েছে শিব সেনার শিণ্ডে শিবির। কিন্তু ওই একই ‘অপরাধে’ উদ্ধব ঠাকরের ছেলে তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরের বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপ করছে না তারা। তাহলে কি এবার কাছাকাছি আসবে শিব সেনার উদ্ধব এবং শিণ্ডে শিবির? শিণ্ডে শিবিরের তরফে অন্তত প্রথম পদক্ষেপটি করা হল।
আসলে মহারাষ্ট্রের নতুন স্পিকার রাহুল নরবেকর একনাথ শিণ্ডেকে শিব সেনার পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরই বিপদ বেড়েছে উদ্ধব শিবিরের। আস্থা ভোটের আগে শিণ্ডের তরফে হুইপ জারি করা হয়েছিল, শিব সেনার সব বিধায়ককে ভোট দিতে হবে তাঁদের পক্ষেই। উদ্ধব ঘনিষ্ঠ বিধায়করা সেই হুইপ না মেনে সরকারের বিপক্ষে ভোট দেন। আদিত্য ঠাকরেও ভোট দেন সরকারের বিপক্ষেই। শিণ্ডে শিবির এরপর যেসব শিব সেনা বিধায়ক তাদের ভোট দেয়নি তাদের প্রত্যেককে বিধায়ক পদ বাতিলের নোটিস পাঠিয়েছে। পাঠানো হয়নি শুধু আদিত্য ঠাকরেকে।
শিণ্ডে শিবিরের তরফে শিব সেনার স্বীকৃত মুখ্য সচেতক ভারত গোগাওয়ালে বলেছেন, ‘আদিত্যর বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপ করা হয়নি। কারণ, বালাসাহেব ঠাকরেকে আমরা সম্মান করি।’ যদিও মুম্বইয়ের রাজনীতিতে গুঞ্জন, ঠাকরে পরিবারকে সন্ধির বার্তা দিতেই আদিত্যর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না শিণ্ডে সেনা। বলে রাখা দরকার, শিব সেনার এই পুরো ভাঙনপর্বে উদ্ধবকে সরাসরি বিক্ষুব্ধ শিবিরের কোনও নেতা আক্রমণ করেননি। উলটে বিক্ষুব্ধদের মুখপাত্র দীপক কেসরকারকে বলতে শোনা গিয়েছে, “উদ্ধবের বিরুদ্ধে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। আমরা তাঁকেই নেতা বলে মনে করি।” শোনা যাচ্ছে, আসন্ন বৃহন্মুম্বই পুরসভা ভোটের আগে শিব সেনার দুই শিবির এক হয়ে যাক, এমনটা চাইছেন দলের একাধিক সাংসদও। তাঁরা দু’পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতেও রাজি।
যদিও উদ্ধব শিবিরের তরফে এখনও প্রকাশ্যে সন্ধির কোনওরকম ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। উলটে তাঁরা এখনও রণং দেহী। দলের হুইপ নিয়ে নতুন স্পিকার রাহুল নরবেকরের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে উদ্ধব শিবির। পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, একনাথ শিণ্ডে-সহ ১৬ বিদ্রোহীর বিধায়ক পদ বাতিলের মামলার এখনও ফয়সালা হয়নি।