জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ পারে শুধু ধর্ম, যোগীর বিধান বিধান
সোমবার, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে লখনউয়ে এক অনুষ্ঠানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোনও একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির জনঘনত্ব নির্বিচারে বাড়তে দেওয়া যায় না। এরকম কিছু হলে সচেতনতামূলক প্রচারসূচি চালানো উচিত। জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে লাগাম টানতে হবে, নচেৎ ভারসাম্যহীনতা দেখা দেবে, যা সামাল দেওয়া যাবে না।”
উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যা বর্তমানে ২৪ কোটি। শীঘ্রই তা ২৫ কোটির গণ্ডি পেরোবে। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, “বর্ধিত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করাটা চ্যালেঞ্জের। তবে আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে রাশ টানতেই হবে।” এদিন অনুষ্ঠানে আদিত্যনাথ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক এবং রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ময়ংকেশ্বর শরণ সিং। ‘জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ পক্ষে’র সূচনা উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আদিত্যনাথের বক্তব্য, “জনসংখ্যা স্থিতিকরণ নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমে আমাদের জাতি-ধর্ম-অঞ্চল-ভাষাগত ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। সমতা বজায় রেখে সচেতনতার প্রসার চালাতে হবে এবং এই ধরনের কর্মসূচিতে সকলকে সার্বিকভাবে অংশ নিতে হবে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মধ্যে সমন্বয় রেখে এগোতে হবে। সার্বিকভাবে সহযোগিতা না হলে সাফল্য আসবে না।”
তিনি আরও বলেন, “এই নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমাদের মাথায় রাখতে হবে, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ তথা স্থিতিকরণ কর্মসূচি সফলভাবে চলতে দেওয়া উচিত। তবে অবশ্যই ভারসাম্য বজায় রেখে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রিত থাকাটা এক ধরনের সাফল্য তবে তা তখনই সম্ভব, যখন সমাজ রোগ-মুক্ত থাকবে।” আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে যদি আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, গ্রাম প্রধান, শিক্ষক এবং অন্যান্যরা কাজ করেন, তাহলে দেশের মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল রাজ্যে হিসাবে পরিচিত উত্তরপ্রদেশেও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পথে সফলভাবে এগোতে পারবে