করা সব থেকে বেশি ফেসবুক ব্যবহার করে জানলে অবাক হবেন
কলকাতা টাইমস :
ফেসবুকের যাত্রা আজ থেকে ১৮ বছর আগে। অর্থাৎ ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করে ফেসবুক। সময়ের ব্যবধানে আজ এই ফেসবুক পুরো বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি যোগাযোগের মাধ্যম।
সারা বিশ্বে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। আমরা মনে করি ফেসবুক প্রধানত বেশি জনপ্রিয় টিনএজার বা কমবয়সী ছেলেমেয়েদের কাছে। কিন্তু একটা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই ধারণা ভুল। জানেন কাদের কাছে বেশি জনপ্রিয় ফেসবুক?
স্কুল কলেজের পড়ুয়া, কিংবা চাকরিজীবী। আজ প্রত্যেকের হাতে হাতেই ফেসবুক। শুধু ব্যবহারের পদ্ধতিটা আলাদা। কেউ ফেসবুককে আড্ডা মারা বা শুধুই এনজয়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। আবার কেউ কেউ এর মাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চেনা পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগটাও বজায় রেখে যায়। তাই ফেসবুক এক হলেও এর ব্যবহার ভিন্ন।
সম্প্রতি ফেসবুকের ব্যবহার নিয়ে সমীক্ষা করা হয়। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নতুন প্রজন্ম বা টিনএজারদের থেকে বয়ষ্ক মানুষেরা বেশি ফেসবুক ব্যবহার করেন। এর মাধ্যমে তারা একাকিত্ব দূর করেন। সমবয়সীদের সঙ্গে কথোপকথন করতে পারেন। যারা বাড়ি থেকে বিশেষ বেরোতে পারেন না, তারা এই ফেসবুকের মাধ্যমে সমাজের খুঁটিনাটি খবর রাখেন।
আসলে বয়স বেশি হয়ে গেলে চারপাশের পরিধিটাও অনেক ছোট হয়ে যায়। তখন কথা বলার মতো বিশেষ কাউকে পাশে পাওয়া যায় না। বাড়ির লোকগুলোও ব্যস্ত থাকে নিজেদের কাজে। সেই একাকিত্বটাকেই ঘোচাতে প্রবীনরা বেশি অ্যাকটিভ ফেসবুকে। ২০১৭ সালের সমীক্ষায় ফেসবুকে প্রবীনদের ব্যবহারের সংখ্যাটা ছিল ২৯ শতাংশ।
এখন ৬৫ বছরের উর্ধ্বের ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশে। এর থেকেই বোঝা যায় ফেসবুক শুধুমাত্র আধুনিক প্রজন্মের কাছেই জনপ্রিয় নয়। এর জনপ্রিয়তার অন্যতম দাবীদার প্রবীনরাও।