‘ছেলেখেলা’, স্কুলপাঠ্যে ঘুড়ি ওড়ানো, ডাঙ্গুলি, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে
জাতীয় শিক্ষানীতির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে কেন্দ্রের এই নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। একদিকে বার্মিংহ্যামে চলা কমনওয়েলথ গেমসে দেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন ক্রীড়াবিদরা। সেই আবহে দাঁড়িয়ে কেন স্কুলস্তরে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি অনুমোদিত খেলাগুলি শেখানোর দিকে জোর দেওয়া হল না? উঠছে এই প্রশ্ন। শুধু চলতি কমনওয়েলথই নয়, গত বছরের টোকিও অলিম্পিকেও তাক লাগানোর মতো সাফল্য পেয়েছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা। বিশ্বের ক্রীড়া মানচিত্রে যখন নতুন করে দাগ কাটতে শুরু করছেন ভারতীয়রা, সেই সময় কেন আরও বেশি করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই ধরনের অনুমোদিত খেলায় উৎসাহিত করা হচ্ছে না?
ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশের মত, এই খেলাগুলি অনুশীলন করলে একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন তারকা পাওয়ার পথ প্রশস্ত হত, তেমনই বিভিন্ন স্তরে চাকরি পেয়ে তাঁদের ভবিষ্যৎ আরও সুনিশ্চিত হতে পারত। অবশ্য কেন্দ্রের দাবি, যে খেলাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তা পুরোপুরি দেশীয় খেলা। এর ফলে হারিয়ে যেতে বসা দেশীয় সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হবে। দেশীয় খেলার মাধ্যমে জ্ঞান ও একাগ্রতা বৃদ্ধি হবে। যার ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পড়াশোনা-সহ অন্যান্য কাজেও নিজেদের আরও ভালভাবে তৈরি করতে পারবে। খুদেদের মনে তৈরি হবে জাতীয়তাবাদ। ঠিক এই জায়গাতেই অনেকের প্রশ্ন, নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে আবার কি নতুন করে জাতীয়তাবাদ তাস খেলা শুরু করল কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার?