প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজধানী ওড়ানোর চোখ কষেছিল দিল্লিতে ধৃত সেই জঙ্গিরা
দিল্লি পুলিশ জানতে পেরেছে, ভিডিও পাঠানো হয়েছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এক এজেন্টকে।
তবে মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। মৃতের দেহের কিছু অংশ দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল উদ্ধার করেছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের আত্মীয়দের ডিএনএ-র সঙ্গে প্রয়োজনে দেহাংশের নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দিল্লির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। চলছে তল্লাশি অভিযান। সেই অভিযানেই গত বৃহস্পতিবার পুলিশের জালে ধরা পড়ে দুই জঙ্গি জগজিৎ ওরফে জস্সা এবং নৌশাদ। পুলিশের বক্তব্য, ধৃতরা খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।
তাদের জেরার পর অভিযান চালিয়ে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল শ্রদ্ধানন্দ কলোনির একটি বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ধৃতরা ওই বাড়িতে ভাড়া থাকত। তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তাদের ঘর থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড বাজেয়াপ্ত করে।
দুই জঙ্গিকে বৃহস্পতিবার দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃত জগজিৎ ওরফে জস্সা উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। নৌশাদের বাড়ি জাহাঙ্গিরপুরীতে। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন তথা ইউএপিএ-র ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা কানাডানিবাসী খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হর্ষদীপ ডালার নির্দেশ মতো চলে। ক’দিন আগেই কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক হর্ষদীপকে সরকারিভাবে জঙ্গি ঘোষণা করে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। ২০১৭ সাল থেকে সে কানাডার আশ্রয়ে আছে।
পুলিশের সন্দেহ, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে রাজধানীতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল ধৃতরা। পুলিশের চিন্তা বাড়িয়েছে জগজিতের সঙ্গে নৌশাদের যোগাযোগ। একটি ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করার অভিযোগে আগে গ্রেফতার হওয়া নৌশাদের সঙ্গে খালিস্তানপন্থীদের সম্পর্ক বিশদে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।