পাকিস্তানে ওষুধের হাহাকার, বন্ধ চিকিৎসার জেরে বাড়ছে রোগীমৃত্যু
চরম আর্থিক ও খাদ্য সঙ্কটে জেরবার পাকিস্তান। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, দেশের যেদিকে চোখ যায় শুধুই হাহাকারের ছবি। সেই ছবি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠল। এবার ভারতের পড়শি দেশে টান পড়ল জীবনদায়ী ওষুধে। পাকিস্তানের স্বাস্থ্য পরিষেবা অবস্থা তথৈবচ। হাসপাতালগুলিতে শুধু নেই নেই চিৎকার। আর ওষুধের অভাবে বাড়ছে রোগীমৃত্যুর সংখ্যাও।সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রয়োজনীয় ওষুধের চাহিদা দিনে দিনে প্রকট হচ্ছে। রোগীদের মধ্যেও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শাহবাজ শরিফের সরকার দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে কম দামে দেশের হাসপাতালগুলিতে ওষুধ পাঠাতে বলেছে। কিন্তু ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলির অভিযোগ, কম দামে ওষুধ পাঠাবে কীভাবে? তারা তো কাঁচা মালের অভাবে ওষুধই তৈরি করতে পারছে না। তৈরি না হলে জোগান দেবে কীভাবে?
উল্লেখ্য, পাকিস্তান ওষুধ তৈরির জন্য কাঁচামাল অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে। কিন্তু দেশের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে সেই পথও প্রায় বন্ধ। ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলির ভাঁড়ারেও টানটান অবস্থা। অন্যদেশ থেকে যে কাঁচামাল আনাবে তাও অসম্ভব। তার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি।
পাকিস্তানের স্বাস্থ্য পরিষেবার চিত্রটা ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারগুলিতে অজ্ঞান করার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধটুকুও পড়ে রয়েছে মাত্র দু’সপ্তাহের মতো। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন দেওয়ার টাকা নেই, তাই অনেককেই ছাঁটাই করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।