জানেন কোন পুরুষেরা অ্যানিউরিজমের ঝুঁকিতে?
তবে অ্যাবডোমিনাল স্ক্যান করে যাঁরা অভিজ্ঞ তাঁদের ধারণা- অ্যাবডোমিনাল অ্যাওর্টিক অ্যানিউরিজমে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এটি ষাটোর্ধ্ব লোকের বেশি হয়। কথিত আছে, বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন অ্যানিউরিজম ফেটে পড়ার কারণে মৃত্যুমুখে পতিত হন। এই নামের সঙ্গে অনেকেই পরিচিত নন। পেটের মধ্যে মহাধমনি স্ফীত হলে এমন হয়।
লক্ষণ
তেমন উপসর্গ থাকে না বলে একে বলা হয় নীরব ঘাতক। আগে শনাক্ত করতে পারলে প্রিভেন্টিভ সার্জারি করা যায়। মহাধমনি ফেটে গেলে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।
কারা ঝুঁকিতে?
* যাঁদের পারিবারিক ইতিহাস আছে
* যেসব পুরুষদের বয়স ৬৫-এর ওপরে
* যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন তাঁদের ঝুঁকি বেশি
জটিলতা যত
ধূমপান করলে আর ধমনি শক্ত হলে দেয়ালে চর্বি, পুঞ্জ জমে সরু হয়। এর যাত্রাপথ অ্যাথারোস্ক্লেরোসিস দুর্বল হয়ে পড়ে। ধমনির প্রস্থ ২-২.৫ সেন্টিমিটার হলেও ধমনি স্ফীত হতে থাকে বেলুনের মতো। এর পরিণতিতে হয় অ্যানিউরিজম। স্ফীত ধমনির প্রস্থ হয়ে যায় তিন সেন্টিমিটার। এই অবস্থা এক দিনে হয় না। অনেক বছর ধরে নীরবে উপসর্গহীনভাবেই মহাধমনি স্ফীত হতে থাকে। ফেটে গেলে শরীরের ভেতরে প্রচুর রক্তপাত হয় আর তখন পেটে ও পিঠে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। একে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে হেমোডায়নামিক কলাপস। এ অবস্থায় রক্তচাপ অনেক কমে যায় আর জ্ঞান লোপ পায়। এতে দুটো বিষয় ঘটতে পারে—
* প্রচুর রক্তক্ষরণে দ্রুত সময়ের মধ্যে রোগীর মৃত্যু হতে পারে
* দ্রুত হাসপাতালে নিতে পারলে সার্জারি আর রাপচার মেরামত করে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যেতে পারে
চিকিৎসা
১৯৫০-এর আগে অসুখটি নিরাময়ের তেমন ভালো ব্যবস্থা ছিল না। এখন ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের স্ক্রিনিং করে রোগটি শনাক্ত করা সম্ভব। অ্যাবডোমিনাল আলট্রাসাউন্ড টেস্টে পেটের মধ্যের মহাধমনির অংশের প্রস্থ তিন সেন্টিমিটার হলে অ্যানিউরিজম সিটি স্ক্যান করা হয়। স্ক্যান করে সন্দেহ হলে রোগীকে পাঠাতে হবে ভাসকুলার সার্জনের কাছে। তিনি পর্যালোচনা করে ঠিক করবেন সার্জারি দরকার কি না। সিএমএইচে খুব দ্রুত এই সার্জারি করার ব্যবস্থা রয়েছে। কিছু অ্যানিউরিজমের ক্ষেত্রে সার্জারির প্রয়োজন হয় না। তবে সব সময় চেকআপ করাতে হয়। পুরুষের ক্ষেত্রে অ্যানিউরিজম ৫.৫ সেন্টিমিটার হলে এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৫ সেন্টিমিটার হলে ফলোআপ প্রয়োজন।