November 25, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

এই তিন দেবের স্মরণে গেলেই শনির বক্র দৃষ্টি  দূর 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

নিদেব হলেন ন্যায়ের দেবতা। শাস্ত্রে, শনিদেবকে কর্মফলের দেবতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সৎ পথে থাকলে সর্বদা শনির আশীর্বাদ বজায় থাকে। আর, খারাপ কাজ করলে শনির রোষ থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব। শনিদেব যার উপর রেগে যান, তাঁর জীবন শনির বক্র দৃষ্টিতে ছারখার হয়ে যায়। বিশ্বাস করা হয়, মানুষের ভাল-মন্দ কাজের হিসাব রাখেন শনিদেব। তাই তাকে ‘কলিযুগের বিচারক’ বলা হয়েছে। শনিদেবের প্রচণ্ড রাগকে ভয় পান সবাই। কিন্তু জানেন কি শনিদেবও কয়েকজনকে খুব ভয় পান? কথিত আছে, শিব, হনুমান ও শ্রীকৃষ্ণের ভক্তদের শনিদেব কখনও বিরক্ত করেন না। তাঁদের উপর কখনই শনির খারাপ দৃষ্টি পড়ে না।

তিল দিয়ে পুজো করার রীতি : পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, সূর্যদেব ও তাঁর পত্নী ছায়াদেবীর পুত্র হলেন শনিদেব। সূর্যদেব একদিন নিজের পুত্রের উপর রুষ্ঠ হয়ে তাঁকে অভিশাপ দেন এবং তাঁর ঘর জ্বালিয়ে দেন। এর পর শনিদেব তাঁর পিতাকে সন্তুষ্ট করার জন্য তিল দিয়ে সূর্যের পূজা করেছিলেন। এই ঘটনার পর থেকেই তিল দিয়ে শনি ও সূর্যের পুজো করার রীতি শুরু হয়।

হনুমানকে ভয় পান শনিদেব : পুরাণ অনুসারে, শনিদেব হনুমানকে ভয় পান এবং হনুমানের ভক্তদের শনিদেব কখনও বিরক্ত করেন না। কথিত আছে, ভক্তি ভরে হনুমানের পুজো করলে শনি দোষ দূর হয়।

শ্রী কৃষ্ণের ভক্ত : শনিদেব শনিদেব ভগবান কৃষ্ণের ভক্ত। পুরাণ অনুসারে, ভগবান কৃষ্ণকে খুশি করার জন্য কোকিলাবনে কঠোর তপস্যা করেছিলেন শনিদেব। শ্রীকৃষ্ণ তাঁর তপস্যায় খুশি হয়ে কোকিল রূপে শনিদেবের কাছে আবির্ভূত হন। তাই, কৃষ্ণ ভক্তদের কখনও শনিদেব বিরক্ত করেন না।

শনিদেব নিজের পত্নীকে ভয় পান : কথিত আছে, শনিদেব নিজের পত্নীকেও ভয় পান। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, একবার শনিদেবের স্ত্রী ঋতুস্নান করে তাঁর কাছে আসেন। কিন্তু শনিদেব তখন শ্রীকৃষ্ণের ধ্যানে মগ্ন থাকায় নিজের স্ত্রীর দিকে ফিরেও তাকাননি। এতে শনিদেবের স্ত্রী রেগে গিয়ে তাঁকে অভিশাপ দেন।

মহাদেবকে ভয় পান শনি : শিব হলেন শনিদেবের গুরু। শিবের ভয়ে ভীত শনি কখনও মহাদেবের ভক্তদের প্রতি তাঁর বিষাক্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন না। তাই শিব ভক্তরা সর্বদা শনির প্রকোপ থেকে মুক্ত থাকেন।

Related Posts

Leave a Reply