কুঁড়েমিতে বিরক্ত ? দেখুন অলসতা দূর করার সহজ উপায়
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
অলসতা বা আলসেমি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। মানসিকভাবে ঠিক না থাকলেও আলসেমি দেখা দিতে পারে, আবার শারীরিক দুর্বলতার কারণেও আলসেমি দেখা দিতে পারে। কর্মব্যস্ততার অভাব হোক বা মানসিকতা, যেকোনও কারণের জন্যে আলসেমি আমাদের জীবনে বাসা বাঁধে। হয়তো অনেক সময় কর্মব্যস্ততা থাকলেও বাঁধাধরা কাজের গণ্ডি টুকু ছাড়া আর কোনও কাজ করতে ইচ্ছা হয় না। অনেক সময় আমরা আলসেমি কাটিয়ে নিজেদের ব্যস্ত রাখার কথা ভাবি। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনার অভাবে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যায় বলে সেই আলসেমি চলে আসে। অনেকেই এই আলসেমি কাটানোর জন্য নানা পরিকল্পনা করলেও কোনওটাতেই কিছু কাজ হয় না। তবে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি প্রয়োগে আপনি আলসেমি কাটিয়ে উঠতে পারেন। দেখে নিন সেগুলি কী কী –
অলসতা বা কুঁড়েমি-র লক্ষণ মুড সুইং চিন্তা করার ক্ষমতা হ্রাস ক্লান্তি বা অবসাদ এনার্জি না পাওয়া উৎসাহের অভাব অলসতা কাটানোর প্রাকৃতিক উপায়
১) জল পান করুন : অলসতা বা আলসেমি চিকিৎসা করা এবং প্রতিরোধের এক দুর্দান্ত উপায় হল নিজেকে হাইড্রেট রাখা। ডিহাইড্রেশন আপনাকে ক্লান্ত বোধ করাতে পারে। সুতরাং, জল এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর তরল পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে।
২) কফি : কফিতে থাকা ক্যাফেইন এনার্জি বাড়ায়। ১ টেবিল চামচ কফি পাউডার, এক কাপ জল, পরিমাণমতো চিনি নিন। একটি পাত্রে কফি পাউডার এবং জল মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। এরপর এতে অল্প চিনি মেশান। একটু ঠান্ডা হওয়ার পর এটি পান করুন। প্রতিদিন ১-২ কাপ কফি পান করতে পারেন।
৩) মধু : মধুতে থাকা কার্বোহাইড্রেট আপনার এনার্জি বাড়াবে এবং আলসেমি ভাব কমাতে সাহায্য করবে। আপনার প্রিয় ডেজার্ট বা স্মুদি-তে কয়েক চামচ মধু মিশিয়ে খান। মধু প্রতিদিন গ্রহণ করতে পারেন।
৪) লেবু : লেবুর রসের সাইট্রিক অ্যাসিড অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্লান্তি নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে। এছাড়াও, নিয়মিত ভিটামিন সি গ্রহণ আয়রন শোষণকে বাড়িয়ে তোলে, ফলে ক্লান্তি এবং স্ট্রেস দূর হয়। হাফ লেবু, এক গ্লাস গরম জল, পরিমাণমতো মধু নিন। এবার গরম জলে লেবুর রস ও মধু দিয়ে ভালভাবে মেশান। তারপর এটি পান করুন। এটি রোজ সকালে খালিপেটে খেলে উপকার পাবেন।
৫) গ্রিন টি : গ্রিন টি-তে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট পলিফেনলস আপনার মুড রিল্যাক্স করতে পারে এবং স্ট্রেস থেকে মুক্তি দিতে পারে। ১ টেবিল চামচ গ্রিন টি, এক কাপ জল, মধু নিন। এক কাপ জলে গ্রিন টি মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। হালকা ঠান্ডা হলে এটি পান করুন। ভাল টেস্টের জন্য এতে মধু মেশাতে পারেন। প্রতিদিন দু’বার গ্রিন টি পান করতে পারেন।