শাহরুখ-বিরাটই নন, ‘ব্লু টিক’ পালাল রাহুল-মমতার একাউন্ট থেকেও
কলকাতা টাইমস :
টুইটারে ব্লু টিক হারালেন শাহরুখ খান, অমিতাভ বচ্চন, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত। ‘কুলীন’ তকমা অর্থাৎ ব্লু টিক। আসলে টুইটার এতদিন জনপ্রিয়তা এবং সমাজের প্রতি অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এদের হ্যান্ডেলগুলিকে ব্লু টিক হ্যান্ডেলের তকমা দিয়ে রেখেছিল। কিন্তু শুক্রবার থেকে সেই লিগ্যাসি ভেরিফায়েড ‘ব্লু টিক’ পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছে মাইক্র ব্লগিং সংস্থাটি। যার ফলে এরা সকলে ‘ব্লু টিক’ হারিয়েছেন।
এলন মাস্ক টুইটার অধিগ্রহণের পরই ঘোষণা করেছিলেন, অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করতে হলে সকলকেই মাসিক টাকা দিতে হবে। ব্লু টিক বা অধুনা যে সোনালি বা রুপোলি টিক চালু হয়েছে, সেগুলি মিলবে স্রেফ টাকা দিলেই। আর কোনওভাবে না। মাস্কের সাফ বক্তব্য ছিল, ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল।’ সেই নীতি মেনেই শুক্রবার থেকে লিগ্যাসি ভেরিফায়েড ব্লু টিক বাতিল করে দিয়েছে টুইটার। যার ফলে রাতারাতি ব্লু টিক হারাতে হয়েছে ভারতের তামাম সেলিব্রিটিকুলকে।
সেই তালিকায় কে নেই! কিংবদন্তি অমিতাভ বচ্চন, বলিউড বাদশাহ অমিতাভ বচ্চন, আলিয়া ভাট-সহ বেশ কিছু বলি তারকা। রাজনীতিবিদদের মধ্যে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীদের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগী আদিত্যনাথ-সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা-সহ একাধিক ক্রিকেটার। যদিও এরা সকলেই নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেলে দ্রুতই ভেরিফায়েড মার্ক ফিরে পেতে পারেন। সেজন্য এদের টুইটার ব্লু-তে সাইন ইন করতে হবে। এবং মাসে নির্দিষ্ট একটি টাকা টুইটারকে দিতে হবে।
২০০৯ সালে টুইটার এই ব্লু টিক সিস্টেম চালু করেছিল। যাতে সেলিব্রিটি বা বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের আলাদা করে চিহ্নিত করা এবং ফেক নিউজ বা ভুল তথ্য পরিবেশন রুখে দেওয়া ছিল মূল উদ্দেশ্য। মাস্ক জমানার আগে পর্যন্ত বিনামূল্যেই ব্লু টিক পেতেন সেলেবরা। এবার থেকে সেটা বন্ধ হয়ে গেল।