ছোট্ট সোনার আঙুল সবসময় মুখে, বন্ধ করবেন যেভাবে …
আঙুল চোষা অভ্যাসের খারাপ দিক
* এই বদ-অভ্যাস শিশুর তেমন কোনো শারীরিক ক্ষতির কারণ ঘটায় না। তবে অপরিষ্কার আঙুল মুখে দেওয়ার ফলে পেটের অসুখ, কৃমি রোগ ইত্যাদিতে ভোগার ঝুঁকি বাড়ে। আঙুল চোষার কারণে শিশুর দাঁতের বিন্যাস সঠিক না-ও হতে পাবে। দাঁত এবড়ো-খেবড়ো ও কুশ্রী হয়ে গজানোর সম্ভাবনা থেকে যায়।
ব্যবস্থাপত্র
* শিশু আর যেসব বিষয়ে আনন্দ পায়, আগ্রহ প্রকাশ করে সে রকম কিছুতে যাতে বেশি সময় দিতে পারে সেটার সুযোগ করে দেওয়া। যাতে সে আঙুল চোষা ভুলতে পারে।
* শিশু যে আঙুল চুষে বা চুষছে, মা-বাবা যেন সেটা শিশুকে বারবার মনে করিয়ে না দেন। বরং শিশুর আচরণের ভালো দিকগুলোর প্রশংসা করে তাকে অন্য ভালো কিছুতে উৎসাহিত করা।
* কিছুটা বয়স্ক শিশু, যে সজ্ঞানে আঙুল চোষার বদ-অভ্যাস থেকে পরিত্রাণের জন্য চেষ্টা করছে, তাকে সহযোগিতা করা, উৎসাহ জোগানো। যখনই সফল হচ্ছে তখন প্রশংসা করা। এ সময় তার ব্যর্থতার প্রতি নজর দিয়ে, তাকে দোষারোপ করা হলে বা কোনো ভর্ত্সনা করা হলে, তার আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে। সে আর জয়ী হতে পারে না।