কোটিপতি ৯৭ শতাংশ, অর্ধেকেরও বেশি খুন, রাহাজানি মামলায় অভিযুক্ত
কর্ণাটকে দুরন্ত পারফরম্যান্স কংগ্রেসের। কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। জয় পেয়েও অবশ্য সমস্যা মিটছে না কংগ্রেসের । মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করতে কার্যত বেহাল দশা দলীয় নেতৃত্বের। এরই মধ্যে জানা গেল নবনির্বাচিত বিধায়কদের সম্পর্কে চমকে দেওয়া তথ্য। অর্ধেকের বেশি নতুন বিধায়কের নামেই রয়েছে ফৌজদারি মামলা। পাশাপাশি তাঁদের মধ্যে ৯৭ শতাংশই কোটিপতি! দক্ষিণী রাজ্যের এক অলাভজনক নির্বাচনী নজরদারি সংস্থা এডিআর এমনই দাবি করেছে।
এর আগে ওই সংস্থার প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছিল নির্বাচনী প্রার্থীদের ৫৮১ জনের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তাঁদেরই মধ্যে ১২২ জন নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। শতাংশের বিচারে যা ৫৫ শতাংশ। বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে ৩২ শতাংশের নামে রয়েছে গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগ।
দলের হিসেবে কংগ্রেসের ৫৮ শতাংশ, বিজেপির ৫২ শতাংশ ও জেডিএসের ১৯ শতাংশ বিজয়ী প্রার্থীর নামে রয়েছে ফৌজদারি অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ। গুরুতর অপরাধের মধ্যে কংগ্রেসের প্রার্থী ৪০ জন, বিজেপির ২৩ জন এবং জেডিএসের ৭ জন। এর মধ্যে একজনের নামে খুনের অভিযোগ রয়েছে। সাতজনের বিরুদ্ধে রয়েছে নারী নির্যাতনের অভিযোগ। এঁদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে বিজয়ী প্রার্থীদের ৯৭ শতাংশই কোটিপতি। বিজয়ীদের গড় সম্পত্তির পরিমাণ ৬৪.৩৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে সেই গড় ছিল ৩৪.৫৯ শতাংশ। ৮১ শতাংশ প্রার্থীরই সম্পত্তির পরিমাণ ৫ কোটি টাকারও বেশি। নবনির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার। তাঁর মোট সম্পত্তি ১ হাজার ৪১৪ কোটি টাকার।