November 25, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

কিনবেন কেন? যখন বাড়িতেই তৈরী করা যায় হেলথি চবনপ্রাশ

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
য়ুর্বেদের আশীর্বাদ হিসেবে প্রাচীনকাল থেকেই সুস্বাস্থ্যের জন্য চবনপ্রাশের ব্যবহার হয়ে আসছে। চবনপ্রাশ হল ভেষজ এবং মশলার আয়ুর্বেদিক ফর্মুলেশন, যা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস সংক্রমণ থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশির মতো সাধারণ সমস্যা থেকে বাঁচতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে আজও দাদু-ঠাকুমারা চবনপ্রাশ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বাচ্চা হোক কিংবা বুড়ো, যেকোনও বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই এই আয়ুর্বেদিক মিশ্রণটি ভীষণ উপকারি। তবে বাজারের চবনপ্রাশে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মিশ্রিত থাকতে পারে। যার ফলে এর প্রকৃত ঔষধি গুণ, অনেকটাই হ্রাস পায়। তাই, বাড়িতেই খুব সহজে কেমিক্যাল ফ্রি চবনপ্রাশ তৈরি করতে পারেন। তাহলে দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে তৈরি করবেন –
উপকরণ :  ১) ৫০০ গ্রাম আমলকি ২) ৬-৭টি ছোট এলাচ ৩) ৫ গ্রাম গোলমরিচ গরমে স্বস্তি পেতে ঘন ঘন কোল্ড ড্রিঙ্কস খাচ্ছেন? শরীরে ক্ষতি হচ্ছে না তো? ৪) একটি মাঝারি দারুচিনির স্টিক ৫) এক চামচ জিরা ৬) দুই চামচ মৌরি ৭) ১/৩ কাপ ঘি ৮) ৪০০ গ্রাম গুড় ৯) ১ কাপ মধু ১০) এক চুটকি কেশর বা জাফরান ১১) ২টি তেজ পাতা ১২) ১০ গ্রাম শুকনো আদা ১৩) ১০ গ্রাম ভ্যানশালোচন ১৪) ১০ গ্রাম লং পিপার বা পিপ্পালি ১৫) ৫ গ্রাম নাগকেশর ১৬) ৫ গ্রাম জায়ফল ১৭) ৫ গ্রাম লবঙ্গ ১৮) একমুঠো কিশমিশ ১৯) ১০-১২টি শুকনো খেজুর( বীজ হীন) ২০) ১/৩ কাপ তিলের তেল ২১) তুলসী ২২) নিম ২৩) অশ্বগন্ধা ২৪) ব্রাহ্মী ২৫) বেল ২৬) পুনর্ণভা ২৭) বাসক পাতা ২৮) হলুদ ২৯) শতাবরী ৩০) যষ্টিমধু।
 তৈরির পদ্ধতি : ১) প্রথমে আমলকি ঠান্ডা জলে ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করে নিন (তবে বেশি সেদ্ধ করবেন না)। কড়াইতেও করতে পারেন। তারপর আমলকির বীজ বের করে, ভালো করে পেস্ট তৈরি করে নিন। ২) এরপর সমস্ত শুকনো মশলা একসঙ্গে গুঁড়ো করুন। তারপর ভেষজগুলি একসঙ্গে গুঁড়ো করে নিন (ভেষজগুলি শুকনো করে কিংবা তাজাও ব্যবহার করতে পারেন)। ৩) তারপর একটি কড়াইয়ে ঘি এবং তিলের তেল এক সাথে গরম করে নিন। ৪) তারপর ঘি ও তেলের মিশ্রণে, আমলকির পেস্ট দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন এবং হালকা আঁচে কষাতে থাকুন। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমলকি তেল ছাড়তে শুরু করে, ততক্ষণ পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। ৫) তারপর আমলকির মিশ্রণটিতে সমস্ত গুঁড়ো মশলা এবং ভেষজ ভাল করে মিশিয়ে নিন। যতক্ষণ না পর্যন্ত কড়াই থেকে আমলকি এবং মশলার মিশ্রণটি সহজেই ছেড়ে আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন। ৬) এবার ওই মিশ্রণটিতে গুড় এবং মধু মিশিয়ে, মাঝারি আঁচে ৫-৭ মিনিট নাড়াচাড়া করে নামিয়ে ফেলুন। ৭) ঠান্ডা হলে, কাঁচের এয়ারটাইট বয়ামে ঢেলে রাখুন। ব্যস, তৈরি আপনার কেমিক্যাল ফ্রি চবনপ্রাশ। চবনপ্রাশে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি সামগ্রী, স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি। আমলকি ভিটামিন সি-এর উৎস। যষ্টিমধু, তুলসী, বাসক পাতা, আদা, মধু এবং অন্যান্য ভেষজ, জ্বর ও সর্দি-কাশির সংক্রমণ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূরে রাখতে সহায়তা করে। নাগকেশর, তেজপাতা, দারুচিনি হজম শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা করে। মেটাবলিজম বাড়ায় এবং হাড় শক্ত করে। নিম এবং হলুদ অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। চবনপ্রাশে থাকা তুলসী এবং হলুদের মতো উপাদান রক্ত পরিশোধক হিসেবেও কাজ করে। শুধু তাই নয়, চবনপ্রাশে থাকা ব্রাহ্মী স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আয়ুর্বেদিক চবনপ্রাশ বহু গুণ সম্পন্ন। শীতকালে প্রতিদিন সকালে এক চামচ চবনপ্রাশের সেবন, ভেতর থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তোলে। যা শরীরকে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধির হাত থেকে রক্ষা করে। দেড় বছরের ঊর্ধ্বে, যেকোনও বয়সের মানুষ চবনপ্রাশ খেতে পারেন। ঘরে তৈরি এই চবনপ্রাশ, ৫-৬ মাস পর্যন্ত সঞ্চয় করে রাখা যায়।

Related Posts

Leave a Reply