ডাক্তারদের ফেলে ইতি লাগল কেন্দ্র
কলকাতা টাইমস :
সরকারের এক নির্দেশেই মেডিক্যালে বেশ কিছু পড়ুয়ার বেহাল অবস্থা সামনে এনে দিয়েছে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছে, ডাক্তারি পরীক্ষাকে পঞ্চবার্ষিকী পরীক্ষায় নিয়ে গিয়ে প্রহসনে পরিণত করা যাবে না। অর্থাৎ বছরের পর বছর এমবিবিএস পাস না করে কলেজের সিট আটকে রাখা যাবে না। বাস্তবেও কিন্তু এমন অসংখ্য মেডিক্যাল পড়ুয়া রয়েছেন যাঁরা বছরের পর বছর পরীক্ষা দিলেও এমবিবিএস ডিগ্রি অধরাই রয়ে যায়।
এনএমসি’র তৈরি ‘গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন রেগুলেশন ২০২৩’-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এমবিবিএস পাস করতে সাড়ে পাঁচ বছরের সময়সীমা। তা বাড়িয়ে ৯ বছর করা যেতে পারে। তার মধ্যে পাস করতে না পারলে ডাক্তার হওয়া যাবে না। বছরের পর বছর ক্লাস আটকে রাখা যাবে না। শুধু তাই নয়, অ্যানাটমি, ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি এই তিনটি বিষয় ফার্স্ট ইয়ারে শেষ করতেই হবে। সর্বোচ্চ চারবার পরীক্ষায় বসা যাবে। অর্থাৎ তিনবার সাপ্লিমেন্টারি দেওয়া যাবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের সব সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষকে ই-মেল করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এনএমসি’র নয়া নিয়মকে স্বাগত জানিয়েছে অভিভাবক ও মেডিক্যাল শিক্ষকদের একটা বড় অংশ। কিন্তু ছাত্রদের একাংশ সমালোচনা শুরু করেছে। মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. অঞ্জন অধিকারীর কথায়, ‘‘আগে একটি সিট কবে ফাঁকা হবে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজকে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হত। সেই সমস্যা অন্তত কমবে।’’
আবার পড়ুয়াদের একাংশের বক্তব্য অনেক সময় কোনও কঠিন সমস্যার জন্য লেখাপড়ায় সাময়িক ছেদ পড়ে। এই নিয়ম চালু হলে সেই ছাত্রদের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অধরাই রয়ে যাবে। একধাপ এগিয়ে তাঁদের অভিযোগ কেন্দ্রীয় সংস্থা এনএমসি মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থা বদলে দিতে চাইছে।