ফের সেই হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদগামী ফলকনামা এক্সপ্রেসই বিধ্বংসী আগুন
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ফের বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটল মাসের প্রথম সপ্তাহেই। শুক্রবার সকালে হাওড়া থেকে সেকেন্দ্রাবাদগামী ফলকনামা এক্সপ্রেসে ভয়াবহ আগুন লাগে । জানা গেছে, শর্ট সার্কিটের জন্যই চলন্ত এই ট্রেনে আগুন লেগে যায়। তবে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় নিরাপদে সব যাত্রীকে বাইরে বের করে আনা সম্ভব হয়। রেল কর্তৃপক্ষের তরফেও জানানো হয় রেলযাত্রীদের সকলকে নিরাপদে ট্রেন থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়। আগুনের ভয়াবহতায় পুড়ে ছাই হয়ে যায় ফলকনামা এক্সপ্রেসের চারটি কামরা। আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে ট্রেনের এসি কোচগুলিতেও।
হাওড়া থেকে সেকেন্দ্রাবাদ যাওয়ার পথে পগিদিপল্লী-বোম্বাইপল্লী স্টেশনের কাছে ফলকনামা এক্সপ্রেসে আচমকাই শুক্রবার আগুন ধরে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে কয়েকটি কামরা। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন ট্রেন যাত্রীরা। দ্রুত খবর পৌঁছয় রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। তৎক্ষণাৎ জারি করা হয় সতর্কতা। পগিদিপল্লী-বোম্বাইপল্লী স্টেশনে ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। দ্রুত সমস্ত যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়। চোখের পলক না ফেলতেই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় কামরা গুলি। যাত্রীরা ভয়ে হুড়োহুড়ি শুরু করে দেন। এস ৪, এস ৫, এস ৬, এস ৭ কামরা সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায় বলে খবর।
বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি এখনও সবার মনে টাটকা । তার মধ্যেই এই ভয়ানক ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটল ফলকনামা এক্সপ্রেসে।
ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়ে যান জেনারেল ম্যানেজার অরুণ কুমার জৈন। উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৯ সালে হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেসে আগুন ধরে গিয়েছিল। সাঁতরাগাছি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকার সময়েই আগুন লাগে এই এক্সপ্রেস ট্রেনে। ভস্মীভূত হয়ে যায় ট্রেনের রেক। সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করে রেল
গত ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটে।। ঘটনায় ২৯৩ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে CBI। রেল মন্ত্রকে সম্প্রতি তদন্ত রিপোর্ট জমা করেছে রেলওয়ে সেফটি কমিশনার। এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে সিগন্যালিং ব্যবস্থার ত্রুটি এবং রেল কর্মীদের গাফিলতি কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটে ।