সেলিম যদি এটা না করতেন, আজ সলমান হতেন না
কলকাতা টাইমস :
বাবার হাতে প্রচণ্ড এক চড় খেয়েছিলেন ছেলে সালমান খান। আর সেই চড় খেয়েই বদলে গিয়েছিলেন ‘সল্লু ভাই’। সালমানের বাবা সেলিম খান। চিত্রনাট্যকার হিসেবে সেলিম খানের সুনাম রয়েছে বলিউডে। হিন্দি চলচ্চিত্রে সেলিম-জাভেদ জুটি বিখ্যাত। এ হেন সেলিম খান একবার ছেলের কাণ্ডকারখানা সহ্য করতে না পেরে সজোরে চড় কষিয়ে দিয়েছিলেন সালমানকে।
কিন্তু ছেলের অপরাধ কী ছিল? হঠাৎ সেলিম রেগেই বা গিয়েছিলেন কেন সালমানের উপরে? সে বহু পুরনো এক ঘটনা। তখন সালমান ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবিটি সবে করেছেন। ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ সেই সময়ে হিট ছবি।
সালমান ও ভাগ্যশ্রী জুটি বেশ ছাপ ফেলেছিল দর্শক মনে। ছবিটি করার অব্যবহিত পরে টোকেন অ্যামাউন্ট হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা পান সালমান। সিনেমার জন্য টোকেন অ্যামাউন্ট মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। এখনকার দিনে সেই কথা ভাবাই যায় না। যাই হোক, পাঁচ হাজার টাকা হাতে পেয়ে সালমান তো বাইক কিনবেন বলে স্থির করে নেন। বাইক পছন্দ করেন সালমান। এ কথা প্রায় সবারই জানা। ‘ইয়ামাহা’ বাইক কিনবেন বলে মনস্থির করে ফেলেছিলেন তিনি।
বাবা সেলিমকে সেই কথা জানান ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ খ্যাত নায়ক। কিন্তু সেলিম তো সেই সব শুনেটুনে জানিয়ে দেন, কিছুতেই বাইক কেনা চলবে না। বাবার নিষেধাজ্ঞা শোনার পরে আর স্থির থাকতে পারেননি ‘সল্লু ভাই’। প্রচণ্ড রেগে যান তিনি।
সালমানের রাগের কথা সবারই জানা। রাগের মুহূর্তে সালমান সবকিছু ভুলে গিয়ে সেই পাঁচ হাজার টাকা আগুনে পুড়িয়েই ফেললেন। এই দৃশ্য সহ্য করতে পারেননি বাবা সেলিম। তাঁর সামনে ছেলে টাকা পুড়িয়ে ফেলছে। টাকার মূল্যই তো জানে না ছেলে। সেলিম সজোরে এক চড় কষিয়ে দেন সালমানের গালে।
তার পর থেকেই সালমানের টাকাপয়সার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নেন সেলিম। বুঝেছিলেন ছেলের হাতে টাকা পড়লে সেগুলো নষ্ট হবে। সালমানের ঘনিষ্ঠমহলে কান পাতলে এখনও শোনা যায়, বাবা সবক শেখানোর পর থেকে হাতে চেক পেলেই সঙ্গে সঙ্গে তা সেলিমের হাতে দেন সালমান।