বন্যার পর ‘ল্যান্ডমাইন’ আতঙ্কে ধুঁকছে লিবিয়া
কলকাতা টাইমস :
ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত লিবিয়া। স্বজন হারাদের জন্য কাঁদার লোকও পাওয়া যাচ্ছে না গোটা শহরে। বন্যার পর নতুন সমস্যা হিসেবে যোগ হয়েছে খাবার জলের সংকট। নতুন এই সংকটের প্রধান কারণ বন্যার জলের নিচে ল্যান্ডমাইনের ফাঁদ।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত লিবিয়া। গাদ্দাফির মৃত্যুর পর স্থিতিশীলতা আসেনি দেশটিতে। বরং গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে এই বন্যায় বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে।
লিবিয়ার উপকূলবর্তী শহর দারনা বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যা উপদ্রুত স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তাদের খাবার জল নেই। যেখান থেকে খাবার জল আসে, সেখানকার উৎসমুখে বন্যার জল ঢোকার ফলে বিষাক্ত হয়ে গেছে। এর ফলে দূর থেকে জল আনা ছাড়া কোনো উপায় নেই তাদের। কিন্তু তার থেকেও বড় সমস্যা হল দূরে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা। কারণ বন্যার জলের নিচে কোথায় ল্যান্ডমাইন পুঁতে রাখা আছে, সেটি আগে থেকে ঠাওর করা সম্ভব নয়। তারা জানিয়েছেন, কোনো কোনো এলাকায় বিপুল পরিমাণ ল্যান্ডমাইন রয়েছে। তবে এখনও ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ হয়নি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
একজন স্থানীয় প্রশাসক জানিয়েছেন, বন্যা বিধ্বস্ত লিবিয়ায় দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া। গত শনিবার পর্যন্ত ১৫০ জনের পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালেও পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে। বিষাক্ত জল খেয়ে আরও অনেকে আক্রান্ত হতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দারনায় ৮৯১টি ভবন সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে। এর মধ্যে ৩৯৮টি ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এতে ঠিক কত জন নিহত হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ক দপ্তর জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১১ হাজার।