দেওলিয়ার পথে ‘ক্যুইন’! বেচেছেন চোঁখ ধাঁধানো বাংলো
কলকাতা টাইমস :
‘ইমার্জেন্সি অর্থকষ্টে’ বিজেপির লোকসভা সদস্য কঙ্গনা রনৌত। অর্থ সঙ্কট এতটাই যে, শেষ পর্যন্ত বাড়ি বেচতে হয়েছে ‘কুইন’ কঙ্গনাকে। হিমাচল প্রদেশের মান্ডির সাংসদ কঙ্গনা এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি মুম্বইয়ের বান্দ্রার পালি হিলের বাড়ি বেচে দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অভিনেত্রী থেকে রাজনীতির পাঠশালায় পা রাখা কঙ্গনা বলেন, তাঁর সাম্প্রতিক ছবি ‘ইমার্জেন্সি’র মুক্তির দিন অনবরত পিছিয়ে যাওয়ায় তিনি আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন। তাই বাড়ি বেচার মনস্থির করেন তিনি।
কঙ্গনা বলেন, আমার ছবি এতদিনে স্বাভাবিকভাবে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। আমি আমার যাবতীয় ব্যক্তিগত সম্পদ এই ছবিতে ঢেলেছি। এখনও এই ছবি মুক্তি পেল না। তাই আমি এই সংকটের সময় এই কাজ করলাম। প্রসঙ্গত, গত ৬ সেপ্টেম্বর কঙ্গনা রনৌতের নতুন ছবি ইমার্জেন্সি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ এই ছবি নিয়ে আপত্তি তোলায় তা পিছিয়ে যায়।
শিখদের একটি অংশ কঙ্গনাকে খতম করার হুমকি দিয়েছে বলেও অভিনেত্রী-প্রযোজকের দাবি। শিখদের বেশ কয়েকটি সংগঠন এই ছবিতে তাদের সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খারাপ চোখে দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জীবনের একাংশ নিয়ে এই ছবি নির্মিত হয়েছে। তাতে ইন্দিরা হত্যাকাণ্ডে শিখদের কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ।
সেই ছবির মুক্তি বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার বিষয়ে বিজেপি সাংসদ বলেন, এখানে আমাদের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে, যা এতদিন ইচ্ছাকৃতভাবে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। আমাদের এসব বলাই হয়নি। তাঁর কথায়, ভালে লোগো কি জমানা নহি হ্যায়। আমার ছবি মুক্তির জন্য তৈরি। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্রও রয়েছে। চারজন ঐতিহাসিক এই ছবি দেখে ছাড়পত্র দিয়েছেন। আমার হাতে উপযুক্ত ঐতিহাসিক দলিলও আছে।]
কঙ্গনা আরও বলেন, এই ছবিতে কোনও কিছু ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়নি। কিন্তু কিছু লোক ভিন্দ্রানওয়ালেকে (পৃথক রাষ্ট্র খলিস্তানের দাবিদার নিহত শিখ নেতা) সাধুপুরুষ হিসেবে দেখাতে চান।