কমোডে আওয়াজ হলেই ২৫ টাকা
ভাবা যায় ! আপনার নিজের বাড়ির ব্যক্তিগত কমোড ব্যবহার করলেই দিতে হবে কর। এই রকমই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে হিমাচল প্রদেশ সরকার। জানা গিয়েছে, আর্থিক সঙ্কট হিমাচলে এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে তা মেটাতে এবার পয়ঃনিষ্কাশন এবং জলের ওপর বিল ধার্য করা হয়েছে। হিমাচলের সুখবিন্দর সিং সুখু সরকারের তরফে প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শহুরে এলাকার বাড়িগুলিতে কমোড (শৌচালয়) প্রতি ২৫ টাকা করে ফি দিতে হবে। জলের বিলের ৩০ শতাংশ নেওয়া হবে পয়ঃনিষ্কাশন বিল হিসেবে। অক্টোবরের শুরু থেকে, প্রতি মাসে জলের সংযোগ পিছু ১০০ টাকা করে জল বিল নেওয়া শুরু করেছে হিমাচল সরকার। এর আগে, জলের জন্য কোনও টাকা দিতে হত না। কমোডের এই অতিরিক্ত ফি, জলশক্তি দফতরের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হবে।
রাজ্যের কংগেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বলেছেন, সরকারি কোষাগারের অবস্থা ভাল নয়। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে প্রাপ্য টাকা দিছে না। জিএসটি চালুর পর রাজ্য সরকারের হাতে রাজস্ব আদায়ের সুযোগ সীমিত। আর্থিক সংকট মোকাবিলায় এছাড়া কোনও উপায় ছিল না।
এই খবর জানাজানি হতেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন ‘যখন প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছতাকে জনগণের আন্দোলন হিসাবে গড়ে তুলছেন, তখন কংগ্রেস শৌচাগারের জন্য মানুষের উপর কর দিচ্ছে! তারা অর্থনৈতিকভাবে ভাল অবস্থায় থাকাকালীন সাফাই পরিষেবা দেয়নি। এটা লজ্জাজনক। এই পদক্ষেপে গোটা দেশ লজ্জিত!’
এই বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন রাজ্যের বিজেপি নেতারা। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে বলেন, আসলে এটা কংগ্রেস দল এবং রাহুল গান্ধীর মডেল দেশের সর্বোচ্চ উদাহরণ। এমনকি টয়লেটও ছাড়ছে না ওরা। পেট্রোল, ডিজেল, দুধ, জল, বাসের ভাড়া, এবং স্ট্যাম্প ডিউটি – হিমাচল প্রদেশ এবং কর্ণাটকে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সবকিছুর উপর কর বসানো হয়েছে।