হঠাৎ ঘাড় এরকম হলেই সর্বনাশ
কলকাতা টাইমস :
প্রীতম (ছদ্মনাম), বয়স ১২ বছর। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে ঘাড় একদিকে বাঁকা হয়ে গেছে। অন্যদিকে নিতে পারে না। চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বাবার কাছে গেল। অনিকের বাবা একজন কলেজের শিক্ষক, ভাবলেন হয়তোবা শোবার কারণে এই সমস্যা, অনিকের মা ইতিমধ্যে প্রতিবেশী একজনকে নিয়ে এসেছেন মালিশ করার জন্য। কিন্তু মালিশ করলেও কোনো কিছুতেই কাজ হলো না। পরদিন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেন। ডাক্তার বললেন, এটাকে মেডিকেল পরিভাষায় ‘টরটিকোলিস’ বলে।
অনেক সময় হঠাৎ যে কোনো এক পাশের ‘স্টারনোকাইডো মাস্টয়েড মাংসপেশিটি টেনে আসে যাকে মেডিকেল ভাষায় মাসল স্পাজম বা টাইটনেস বলে, তখন আক্রান্ত ব্যক্তিটির ঘাড় এক পাশে বেঁকে যায়।
আমাদের ঘাড়ের দুই পাশে দুটি শক্ত মাংসপেশি থাকে যাকে মেডিকেল ভাষায় ‘স্টারনোকাইডো মাস্টয়েড’ বলে। এই মাংসপেশির কাজ হলো ঘাড়ের মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রণ করা। অনেক সময় হঠাৎ যে কোনো এক পাশের ‘স্টারনোকাইডো মাস্টয়েড মাংসপেশিটি টেনে আসে যাকে মেডিকেল ভাষায় মাসল স্পাজম বা টাইটনেছ বলে, তখন আক্রান্ত ব্যক্তিটির ঘাড় এক পাশে বেঁকে যায়, অন্যদিকে ঘোরাতে পারে না। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসা হলো আক্রান্ত মাংসপেশিকে রিলাক্স বা নরম করা। এ ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ম্যাজিকের মতো ফল পাওয়া যায়। পাশাপাশি কিছু মাসল বিলাক্সেন ওষুধের প্রয়োজন পড়ে। এ ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে দ্রুত সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।