দৃশ্যম দেখেই ডিএম-বাংলো, ব্যবসায়ীর স্ত্রীর পরিণতি
কলকাতা টাইমস :
আচমকা উধাও হয়ে গিয়েছিলেন একতা গুপ্তা নামে এক জনৈক ব্য়বসায়ীর স্ত্রী। চার মাস পর, তাঁর দেহ উদ্ধার হল কানপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বাংলোর কাছ থেকে। তাঁর স্বামী রাহুল গুপ্তা, অভিযোগ করেছিলেন একতার জিম ট্রেইনার, বিমল সোনির বিরুদ্ধে। পুলিশের জেরার মুখে একতাকে হত্যার কথা স্বীকার করে নেয় বিমল। সে জানায়, একতাকে হত্যা করে কানপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বাংলোর কাছে এক ক্লাবে মাটির নীচে পুঁতে দিয়েছিল সে। এরপরই, শহরের অন্যতম অভিজাত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ৩২ বছরের একতার দেহ।
জানা বিমল কানপুরের রায়পুরওয়া এলাকার বাসিন্দা। গ্রিন পার্ক এলাকায় অবস্থিত তার জিমে নিয়মিত শরীর চর্চা করতে আসতেন একতা। এর মধ্যেই বিবাহিত একতার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে সম্প্রতি তার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছিল। বাগ্দানও হয়ে গিয়েছিল। এটা মেনে নিতে পারেনি একতা। গত ২৪ জুন, শেষবার জিমে এসেছিলেন একতা। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছিল, তাঁর পরণে ছিল লাল টিশার্ট এবং কালো প্যান্ট। বিমলের দাবি, জিমের মধ্যেই তাদের মধ্যে এক প্রস্থ তর্কাতর্কি হয়। এরপর দুজনে জিম থেকে বেরিয়ে যান। সিসিটিভিতে সেই ছবিও ধরা পড়েছে। এরপর, দুজনে একটি গাড়িতে বসে কথাবার্তা বলছিলেন। বিমলের দাবি, গাড়িতেও তাদের মধ্যে বচসা হয়। এক পর্যায়ে, তিনি একতার ঘাড়ে ঘুষি মারেন। যার ফলে একতা অজ্ঞান হয়ে যান। এরপর তাঁকে হত্যা করে বিমল।
হত্যার পর, সে কানপুরের ওই ভিভিআইপি এলাকায় একটি গর্ত খুঁড়ে একতার দেহ পুঁতে দিয়েছিলেন। বিমলের দাবি, দেহটি ওই এলাকায় কবর দেওয়ার ভাবন তার এসেছিল বলিউড ফিল্ম দৃশ্যম থেকে। সে ভেবেছিল, ওই রকম ভিভিআইপি এলাকায় কাউকে খুন করে পুঁতে দেওয়া হবে, পুলিশ তা চিন্তাই করতে পারবে না। তাই সে কখন ধরা পড়বে না। তবে, এরপরও বিমলকে আদালতে দোষী প্রমাণ করাটা সমস্যার হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। কারণ, বিমল মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। তাই, সে কোন কোন জায়গায় গিয়েছে, তা মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে বলা সম্ভব নয়। তাই, এই ঘটনার আরও তদন্তের জন্য পুনে, আগ্রা এবং পঞ্জাবে দল পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।