কলকাতা টাইমস :
যিশুর জন্মের পর থেকেই নতুন সাল গণনার সূচনা। তাহলে ২৫ ডিসেম্বরের বদলে কেন ১ জানুয়ারিতে পালিত হয় বর্ষবরণ? মাঝে কেন ৮ দিনের ব্যবধান? উত্তর খুঁজতে পাড়ি দিতে হবে ইতিহাসের পাতায়।
খ্রিস্টের জন্মের ২ হাজারেরও বেশি বছর আগে বিশ্বের অনেকটা অংশে প্রচলিত ছিল ব্যাবিলনীয় ক্যালেন্ডার। ১০ মাসের এই ক্যালেন্ডারে নতুন বছর হত মার্চ মাস নাগাদ। বসন্তে প্রকৃতি যখন নতুন জীবনীশক্তি পেয়ে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে, সেই সময়ে বর্ষবরণ করতেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু রোমান সাম্রাজ্যের প্রথমদিকে পালটে যায় এই ক্যালেন্ডার। গোটা বছরকে ১২ মাসে ভাগ করা হয়। নতুন ক্যালেন্ডারে যোগ হয় জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস। মনে করা হয়, রোমান দেবদেবীর নাম লানুয়ারিউস এবং ফেব্রুয়ারিউসের নাম অনুসারে নতুন দুই মাসের নাম রাখা হয়েছিল। তবে দুটি মাস যোগ হলেও নতুন বছর গোনা হত মার্চ থেকেই।
জানুয়ারি মাস থেকে নতুন বছর ধরা শুরু হয় রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের সময়কালে। খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ সালে গোটা রোম সাম্রাজ্যজুড়ে নতুন ক্যালেন্ডার চালু করার পরিকল্পনা করেন সিজার। সেই মতো খ্রিস্টপূর্ব ৪৫ সাল থেকে শুরু হয় জুলিয়ান ক্যালেন্ডার। জানুয়ারি মাস থেকে নতুন বছর, সেই হিসাবেই ১২ মাসের ক্যালেন্ডার তৈরি হয়। সুবিশাল রোমান সাম্রাজ্য ছাড়াও আরও বহু জায়গায় অনেকদিন ধরে প্রচলিত ছিল এই জুলিয়ান ক্যালেন্ডারই। তবে রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিস্টধর্ম ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে ছবিটা। খ্রিস্টের জন্মের ৫০০ বছর পরে দিউনিসিয়স এক্সিগুস নামে এক ধর্মপ্রচারক পরিকল্পনা করেন, সালগণনা শুরু হোক খ্রিস্টের জন্মের সময়কালের নিরিখে।