November 25, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

মিথ ভেঙে জানুন : কোন কোন বিরল রোগ সারায় ডার্ক চকোলেট 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস

চকোলেট মানেই দাঁতে পোকা| চকোলেট মানেই বাড়তি ওজন| এটাই আমরা মানি তাই না ! কিন্তু জানেন কি নির্দিষ্ট পরিমাণে খেলে এবং খাওয়ার পর ভালো করে দাঁত মেজে নিলে ডার্ক চকোলেটের  মতো মহাঔষধি হয় না।

একাধিক স্টাডি বলছে, ডার্ক চকোলেটে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান, যা খেলে টক্সিন বেরিয়ে যায়। এতে ক্যান্সারের কোষ তৈরিরআশঙ্কা একেবারেই কমে যায়। কোকো থেকে তৈরি সুস্বাদু চকোলেট নিয়মিত খেলে আরও কী কী উপকার পাওয়া যায়?

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ডার্ক চকোলেটে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই তো নিয়মিত এই বিশেষ ধরনের চকোলেটটি খাওয়া শুরু করলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষারসুযোগ পায় না।

মগজাস্ত্রের ধার বাড়ায়: ব্যোমকেশ বক্সী বা ফেলু মিত্তিরের মতো ধারালো মগজাস্ত্র কে নাচান? তাহলে অল্প করে ডার্ক চকোলেট খেতেই হবে। কারণ, এর মধ্যে উপস্থিত ফ্লেভনয়েড ব্রেন ফাংশনের এতটাই উন্নতি ঘটায় যে একদিকে যেমন বুদ্ধির ধার বাড়তে শুরু করে,তেমনি অন্যদিকে স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগেরও বিকাশ ঘটে।

দূষণ দূরে যাক: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা এতটা বৃদ্ধি পায় যে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান হ্রাস পায় দ্রুত। স্বাভাবিকভাবেই, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি অন্যান্য জটিল রোগও ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতেওবিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ডার্ক চকোলেটে দু’ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। একটা ফ্লেভনয়েড এবং দ্বিতীয়টি পলিফেনলস| যা নানাভাবে শরীরের গঠনে সাহায্য করে থাকে।

হার্টের উন্নতি ঘটায়: আমাদের শরীরের ইঞ্জিন হার্ট। তাই সভ্বার আগে হার্ট ভালো রাখা অতি প্রয়োজন| এখন প্রশ্ন, হার্ট চাঙা রাখবেন কী করে? উত্তর, প্রতিদিন ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করুন। ডার্ক চকোলেটে উপস্থিত ফ্লেভনয়েড এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শক্তিশালী এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টটি হার্টে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। ফ্লেভনয়েড রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা এতটাইবাড়িয়ে দেয় যে ব্লাড ক্লট হওয়ার আশঙ্কাঅনেকটাই কমে যায়। ফলে হার্ট অ্যাটাক বাস্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে।

খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: ডার্ক চকোলেটে উপস্থিত পলিফেনলস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে উপকারী কোলেস্টেরল বা এইচডিএল-এর মাত্রা বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। আরউপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা যত বাড়ে, ততই হার্ট ভালো থাকে| এই কারণেই অনেক সময় হার্টের রোগীদের নিয়মিতডার্ক চকোলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

রক্তচাপ এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে আসে: একাধিক স্টাডিতে প্রমাণিত, টানা ৮ সপ্তাহ নিয়মিত ডার্ক টকোলেট রক্তে সুগারের মাত্রা কমতে শুরু করে| রক্তচাপও স্বাভাবিক হয়ে যায়।

চুল কম পড়ে: অতিরিক্ত চুল ঝরছে বলে মনখারাপ? তাহলে নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। আসলে চকোলেটটি খাওয়া মাত্র শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যে তার প্রভাবে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালনা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে চুলের গোড়াও পুষ্ট হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চুল পড়ার হার কমতে শুরু করে।

অতি বেগুলি রশ্মি থেকে বাঁচায়: ডার্ক চকোলেটকে গলিয়ে যদি নিয়মিত ত্বকে লাগানো যায়,তাহলে ত্বকে ‘শিল্ড’ বা বাড়তি পরত তৈরি হয়ে যায়। এতে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বকের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে সান বার্ন এবং স্কিন ক্যান্সারের মতো রোগও দূরে থাকে।

Related Posts

Leave a Reply