November 25, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular ব্যবসা ও প্রযুক্তি রোজনামচা

দুষ্টুমির খেসারত ১০ কোটি, বাবা-মায়ের মাথায় বজ্রাঘাত

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস 

বাড়িতে দুরন্ত বাচ্চা ? কোথাও ঘুরতে নিয়ে গিয়েও শান্তি নেই। চোখের নিমেষে ঘটিয়ে ফেলে বিপদ। খেলার ছলে সবসময়ই কোনো না কোনো কাণ্ড ঘটিয়ে বসে ? সাবধান ! বছর এই দুস্টুমি কতটা মারাত্বক হতে পারে তা হাড়ে-হাড়ে টের পাচ্ছেন  কানসাসের এক দম্পতি । বাচ্চার জন্য তাদের মাথায় বাজে পড়ার মতো অবস্থা। জরিমানা হিসেবে গুনতে হতে পারে ভারতীয় মুদ্রায় তা প্রায় ১০ কোটি টাকা । অঙ্কটা শুনে চমকে উঠলেন তো !

সম্প্রতি আমেরিকার কানসাসের এক দম্পতি  ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে বিয়েবাড়ি গিয়েছিলেন । কমিউনিটি হলের প্রবেশপথেই রাখা ছিল এক অমূল্য ভাস্কর্য । বিয়েবাড়ি লোকজন তাই একটু স্বাধীন ভাবে ছেড়ে রেখেছিলেন বিচ্ছু ছেলেকে । আর ছাড়া পেয়েই কখন যে সে ছেলে চলে গিয়েছিল এই ভাস্কর্যের কাছে । কাচের মূর্তিকে দেখে জড়িয়ে ধরার সাধ হয় খুদের । আর তাতেই ঘটে বিপত্তি । ভার সহ্য করতে না পেরে মূর্তি সহ মাটিতে উল্টে পড়ে দস্যি । আওয়াজ ও ছেলের কান্না শুনে ছুটে আসেন দম্পতি । এসে দেখেন ছেলে সেভাবে চোট না পেলেও মূর্তি ততক্ষণে চুরমার ।

সেদিনের মতো ছেলেকে বকাঝকা করে বাড়ি ফিরে এলেও ঘটনা সেখানেই থেমে থাকেনি । কিছুদিন বাদেই বীমা সংস্থা থেকে একটি নোটিস পাঠানো হয় ওই দম্পতিকে । যেখানে ওই মূর্তি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারণে জরিমানা ধার্য করা হয় । অঙ্কটা ১৩২০০ মার্কিন ডলার । বীমা কোম্পানির তরফে বাবা মায়ের দিকে সন্তানকে সামলে না রাখার অভিযোগও আনা হয় । ভাস্কর্যটির শিল্পী বিল লায়ন্স জানান , মূর্তিটি যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর সেটিকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয় । মূর্তিটি বানাতে তাঁর প্রায় ২ বছর সময় লেগেছে । কাচের টুকরো সূক্ষ্ম ভাবে কেটে মুর্তিটি বানানো হয় । তিনি তাঁর সময়ের মূল্য ফেরত চান । বীমা কোম্পানির নোটিস প্রসঙ্গে শিশুর মা জানান , খুদে সবে প্রিস্কুল পাশ করেছে । সে ইচ্ছাকৃত ভাবে মূর্তিটি ভাঙেনি । হয়তো মূর্তিটি ভাল লেগেছিল, তাই সে সেটি জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিল । পাশাপাশি তিনি এই হলের কর্তৃপক্ষের দিকে গাফিলতি অভিযোগ তোলেন । যুক্তি দেন , এত মূল্যবান একটি ভাস্কর্য এভাবে অরক্ষিত ভাবে কেন রাখা ছিল । এটি ছিল মূল রাস্তার মধ্যিখানে রাখা । সে অর্থে কোনো পৃথক ঘরের ব্যবস্থা ছিল না বা কোনো সাবধানতামূলক ব্যানারও ছিল না আশেপাশে । যে কারোর ধাক্কাতেই মূর্তিটি ভাঙতে পারত ।

Related Posts

Leave a Reply