এবার বল টেম্পারিংয়ের দায়ে সাসপেন্ড শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল!
কলকাতা টাইমসঃ
বল টেম্পারিংয়ের দায়ে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালকে এক টেস্টের জন্য সাসপেন্ড করলো আইসিসি। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন না তিনি। পাশাপাশি ম্যাচ ফির পুরোটাই জরিমানা করা হয়েছে এই ব্যাটসম্যানকে।
সেন্ট লুসিয়া টেস্টের পর শুনানিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় চান্দিমালকে এই শাস্তি দেন ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথ। এই শাস্তির বিরোধিতা করে প্রায় ২ ঘণ্টা মাঠে নামেনি শ্রীলঙ্কা। যাকে অখেলোয়াড়িচিত আচরণ বলেছে আইসিসি। এই কারণে শ্রীলঙ্কান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও ম্যানেজার আসাঙ্কা গুরুসিনহাও শাস্তি পেতে পারেন। পরবর্তী দুই থেকে চারটি টেস্টের জন্য সাসপেন্ড করা হতে পারে তাদের। সেই সঙ্গে অধিনায়ক চান্দিমালের শাস্তি আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সেন্ট লুসিয়া টেস্টের তৃতীয় দিনে খেলা শুরু হতে প্রায় ২ ঘণ্টা দেরি হয়। বল বদলানো নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের জেরেই এই বিলম্ব। বল বিকৃত করা হয়েছে বুঝতে পেরে আম্পায়াররা তৃতীয় দিনের শুরুতে বলটি বদলানোর সিদ্ধান্ত নেন। শ্রীলঙ্কা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মাঠে নামতে অস্বীকার করে। রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথ প্রথমে শ্রীলঙ্কানদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। মাঠে ফেরে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তাদের ৫ রান জরিমানা করা হয়। প্রতিবাদে আবার মাঠ ছাড়ে শ্রীলঙ্কা দল। পরে ফিরলে খেলা চলেছে যথানিয়মেই। শ্রীলঙ্কার অভিযোগ, বলের অবস্থা দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষেই পরীক্ষা করে দেখেছিলেন আম্পায়াররা। তখন কোনো বিকৃতির কথা বলেননি। পরে আবার কেন সেটা করা হল?
ম্যাচে মাঠের দায়িত্বে ছিলেন দুই আম্পায়ার আলিম দার ও ইয়ান গৌল্ড, তৃতীয় আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো। পরে এই বিতর্ক এক নতুন মোড় নেয়। যার ফলে দিনেশ চান্দিমালের দিকে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ ওঠে। ম্যাচ শেষে আনুষ্ঠানিক শুনানির কথা জানায় আইসিসি। লঙ্কান অধিনায়ক অবশ্য প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। অভিযোগ, ওই টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ পর্যায়ে শ্রীলঙ্কানদের বল ব্যবহারের পদ্ধতিতে প্রথম সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা। তিন আম্পায়ার সম্প্রচারকদের কাছে ভিডিও ফুটেজ চেয়ে নেন। তৃতীয়দিন সকালে সেই ফুটেজ দেখেন।
চান্দিমাল পকেট থেকে একটা কিছু বের করে মুখে নিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন। তবে দাবি করেন, সেই বস্তুটি কি ছিল, তা মনে করতে পারছেন না। লঙ্কান অধিনায়কের এই ভাষ্য বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি ম্যাচ রেফারির কাছে। আচরণবিধির এই ধারার সর্বোচ্চ শাস্তিই দেওয়া হয় তাকে।