November 25, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

অভিশাপ তাড়া করে বেড়ায় পাকিস্তানী শাসকদের !

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমসঃ

পদচ্যুত হওয়ার পর দেশছাড়া হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। পাকিস্তানের নাগরিকত্বও হারিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তার স্ত্রী ভেন্টিলেশনে। লন্ডনে সেই অসুস্থ স্ত্রীকে ছেড়ে তাঁকে ফিরতে হচ্ছে পাকিস্তানে।

পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলছে। ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় তার। সেই মামলায় হাজিরা দিতে পাকিস্তানে ফিরতে হচ্ছে তাকে। জনশ্রুতি, চারটি অভিশাপ থেকে কোনদিনই বাঁচতে পারেননি পাকিস্তানের কোনও শাসক। সেই চার অভিসাপ হল অভ্যুত্থান, দুর্নীতি, অপরাধ, দেশছাড়া হওয়া।

অভ্যুত্থান- সেনা অভ্যুত্থানের কারণে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইসকিন্দার মির্জা, প্রধানমন্ত্রী জুলফিকর আলি ভুট্টো, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এছাড়া অভ্যুত্থানের মুখোমুখি হতে হয়েছিল লিয়াকত আলি খান, জিবাউল হক ও বেনজির ভুট্টোকেও। যদিও সেই অভ্যুত্থান সফল হয়নি।

দুর্নীতি- বিভিন্ন সময় পাকিস্তানের একাধিক শাসকের বিরুদ্ধে  দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই তালিকায় রয়েছেন আসিফ আলি জারদারি, নওয়াজ শরিফ, ইউসুফ গিলানি এবং পারভেজ মোশারফ।

অপরাধ- আলতাফ হুসেন, আসিফ জারদারি, নওয়াজ শরিফ ও পারভেজ মোশারফকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। বেনজির ভুট্টোকে ২০০৭ সালে খুন করা হয়।

দেশছাড়া হওয়া- এটাও পাক শাসকদের কাছে নতুন বিষয় নয়। ২০০২ থেকে ব্রিটেনে ছিলেন আলতাফ হুসেন, দুবাইতে ছিলেন আসিফ আলি জারদারি। পরে লন্ডন ও নিউ ইয়র্কেও থাকতে হয় তাকে। ২০০০ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত সৌদি আরবে ছিলেন নওয়াজ শরিফ। বেনজির ভুট্টো দুবাইতে ছিলেন ১৯৯৮ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত দুবাইতে ছিলেন বেনজির ভুট্টো। আর ২০০৮ থেকে লন্ডনে রয়েছেন পারভেজ মোশারফ।

 

Related Posts

Leave a Reply