‘আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ’ পেতে মরিয়া বিলেত ফেরত ডাক্তার, শ্রীঘরে ২
কলকাতা টাইমস :
আরব্য রজনীর সেই আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের্ গল্প কে না শুনেছে। সব ইচ্ছা পূরণ করে দিত এই প্রদীপ । তবে বাস্তবে নয়; রূপকথার গল্পের বইয়ের পাতায়। বাচ্ছাদের কাছে সেই প্রদীপের প্রয়জোনীয়তা না হয় বোঝা যায় কিন্তু তাই বলে এক উচ্চ শিক্ষিত বিলেত ফেরত ডাক্তার কিনা সেই প্রদীপ পেতে এতো মরিয়া হলেন যে আড়াই কোটিতে সেই প্রদীপ কিনলেন। কোটিপতি হওয়ার লোভেই আড়াই কোটির গচ্চা গিয়েছে ওই চিকিৎসকের।
উত্তরপ্রদেশের খারনগর এলাকার বাসিন্দা লাকি খান নামের ওই বিলেত ফেরত ডাক্তার অভিযোগ করেছেন, ২০১৮ সালে শামীমা নামে এক রোগীনীর অপরেশন করেন। এর পরে সামিনার বাড়িতে মাঝমাঝেই ড্রেসিং করতে যেতেন। সেখানেই নিজেকে তান্ত্রিক বলে পরিচয় দেওয়া ইসলামুদ্দিনের সঙ্গে তার আলাপ হয়। নিজের জাদুবিদ্যার গুণে চিকিৎসককে কোটিপতি বানিয়ে দিতে পারে বলে দাবি করে ইসলামুদ্দিন। এর পরে আনিস নামে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ইসলামুদ্দিন একটি প্রদীপ বিক্রির প্রস্তাব দেয় লাকিকে।
অন্ধবিশ্বাসী সেই বিলেত ফেরত ডাক্তারকে বোঝানো হয় যে, এটিই আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ। যে কোনো ইচ্ছাপূরণের ক্ষমতা আছে এই প্রদীপের। চিকিৎসক এমনও দাবি করেছেন যে, ইসলামুদ্দিন ও আনিস নাকি ওই প্রদীপ থেকে ‘জিন’ বার করিয়ে দেখায়। এর পরেই তিনি বিশ্বাস করে ওই প্রদীপটি আড়াই কোটি কোটি দিয়ে কিনতে রাজি হয়ে যান। কিন্তু ধাপে ধাপে আড়াই কোটি মিটিয়ে দেওয়ার পরে তাকে বলা হয়, প্রদীপটি দেওয়া যাবে না কারণ, সেটি ছুঁলে চিকিৎসকের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
এর কিছুদিন পরে চিকিৎসক বুঝতে পারেন, তিনি ঠকেছেন। তান্ত্রিক পরিচয় দেওয়া ইসলামুদ্দিন আসলে রোগিনী শামীমার স্বামী। তাকে ধোঁকা দিতে বন্ধু আনিসের সাহায্য নিয়ে এই ইসলামুদ্দিনই জিন সেজেছিল। ঘটনা বুঝতে পেরে তিনি পুলিশের কাছে যান।ব্রহ্মপুরী থানার অফিসার অমিত রাই জানিয়েছেন, ইসলামুদ্দিন ও আনিসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, শামীমা নামের ওই নারীও এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। সে আপাতত পলাতক আছে।