বিস্কুট যে কি বিপদ ডেকে আনছে জানলে চোখ কপালে উঠবে
কলকাতা টাইমস :
হালকা বা খুচরো খিদের কথা মাথায় এলেই আমাদের প্রথম মনে পড়ে বিস্কুটের নাম। সকালের জলখাবার, বিকেলে চায়ের সঙ্গে কিংবা মাঝরাতে খিদের বিকল্প কিন্তু এই বিস্কুটই। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন এই সুস্বাদু এই খাবরটি কি আদৌ শরীরের পক্ষে উপকারী? বিস্কুটে আবার কী ক্ষতি হবে এমন কথা বলেও বেশ নড়েচড়ে বসবেন অনেকে। কিন্তু বিস্কুট যে কী বিপদ ডেকে আনছে তা একটু জেনে নিন…
আরও পড়ুন : মন ভালো রাখতে এগুলি কখনই না …
বিস্কুট বানাতে লাগে ময়দা। কিন্তু রিফাইন্ড ময়দা শরীরের পক্ষে একেবারেই উপকারী নয়। কারণ ময়দা বানানোর সময় গমের অন্দরে থাকা পুষ্টিকর উপাদানগুলি ঝরে পরে যায়। ফলে ময়দা খেলে শরীরে উপকারে তো লাগেই না, উল্টে পেটের নানা ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বদ-হজম এবং এসিডিটির মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, রিফাইন্ড ময়দা হঠাৎ করে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিয়ের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।ফ্যাট বা চর্বি। বিস্কুট বানাতে হাইড্রোজেনেটেড ফ্যাট ব্যাবহার করা হয়। ডালডা, ঘি, জাতীয় এসব উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা ধীরে ধীরে বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়। সেই সঙ্গে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও দেখা দেয়।
মিষ্টি জাতীয় বিস্কুট বানানোর সময় তাতে প্রচুর মাত্রায় চিনি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর ক্রিম বিস্কুটের কথা তো বাদ। এই পরিমাণ শর্করা রক্তে মিশলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে সুগার লেভেল বাড়তে শুরু করে। আর এমনটা দীর্ঘ সময় ধরে হতে থাকলে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। সেই কারণেই তো যাদের পরিবারে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ইতিহাস রয়েছে, তাদের অতিরিক্ত মিষ্টি বিস্কুট খেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।
বিস্কুটে ব্যবহৃত রঙ, কৃত্তিম ফ্লেভারও ভীষণ ক্ষতিকর। তাই বিস্কুট খাওয়ার আগে আরেকটু ভেবে নিন। কিংবা নিজেই ঘরে স্বাস্থ্যসম্মত উপাদান দিয়ে বিস্কুট তৈরি করে নেন।